দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ মার্চ: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে দ্বিমূখী নীতি পরিহার করার জন্য বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।তিনি রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান।জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ।সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ সিরাজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. জহুরুল ইসলাম চৌধুরী ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বিএনপি আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করছে, যা প্রতারণার রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।তিনি বলেন, তারা এ নির্বাচনকে একদিকে বলছে তামাশার নির্বাচন। আবার এ নির্বাচনে অংশ গ্রহণও করছে। তামাশার এ নির্বাচনে তারা অংশ না নিলেও পারে।দ্বিমুখী নীতি পরিহার করার আহবান জানিয়ে বিএনপি উদ্দেশ্যে তোফায়েল বলেন, গত তিন মাসে হরতাল অবরোধের নামে পেট্রলবোমা হামলার মাধ্যমে দেশের নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করায় সৃষ্ট জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য এ নির্বাচন তাদের জন্য সেফ এক্সিট হতে পারে।বিএনপি-জামাতের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি সম্পর্কে তোফায়েল বলেন, ‘তাদের হরতাল অবরোধে দেশের মানুষ কোন সাড়া দেয়নি। কেননা তাদের হরতাল অবরোধের মধ্যে রাজধানীতে তীব্র যানজট দেখা গেছে এবং রাজধানীসহ সারাদেশে জনজীবন স্বাভাবিক ছিল।
’তিনি বলেন, দেশের মানুষ বিএনপি-জামায়াতের হরতাল অবরোধে সাড়া না দেয়ায় দেশের নিরীহ মানুষকে পেট্রলবোমা হামলা করে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এ জন্য বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিচারের মুখোমুখী হতেই হবে।তোফায়েল বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুনী। তার হাতে শুধু শ্রমিকের রক্ত নয়, তার হাত থেকে শিশু ও অন্তঃস্বত্ত্বা নারী পর্যন্তও রেহাই পায়নি। তিনি তাদের মধ্যযুগীয় বর্বর কায়দায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন।বিএনপি-জামাতের নারকীয় হত্যাযঞ্জের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য স্বাধীনতার মাসে শপথ গ্রহন এবং হরতাল-অবরোধের অজুহাতে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মহান শহীদ দিবসে শহীদ মিনারে ও মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে না যাওয়ার জন্য তিনি তীব্র নিন্দা জানান।