দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ মার্চ: সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকার যদি প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে তাহলে রাজপথেই তার জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন।আসন্ন সিটি নির্বাচন গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হলে সরকারের জন্য এটাই শেষ খেলা বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বার কাউন্সিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন।রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৫ উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ার করেন।২০ দলীয় জোটের আন্দোলন দমানোর কৌশল হিসেবে সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়ে সরকার নিজেই ফাঁদে পা দিয়েছে মন্তব্য করে খন্দকার মাহবুব বলেন, নির্বাচনের সময় হাজার হাজার নেতা-কর্মী মাঠে নামবে যারা আন্দোলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই অবস্থান করবে।
এছাড়া, গুম-খুনের দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে জানিয়ে বিএনপির এ নেতা জাতীয় নির্বাচন দিয়ে আওয়ামী লীগকে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। সরকারকে উদ্দেশে খন্দকার মাহবুব বলেন, সিটি নির্বাচনে ৫ জানুয়ারির পুনরাবৃত্তি করে সরকার যদি আবারো সেই খেলায় মেতে উঠেন তাহলে এই খেলাই হবে শেষ খেলা। খেলা অনেক হয়েছে, সেই খেলা খেলতে যাবেন না আশা করি।তবে সিটি করপোরশন নির্বাচন সুষ্ঠু হতে হবে; কোনো প্রকার হয়রানি করলে বা সভা সমাবেশ, মিছিলে বাধা দিলে পরিণতি যা হবার তাই হবে বলেও সরকারকে হুঁশিয়ার করেন নব নির্বাচিত এই বার কাউন্সিল এসোসিয়েশনের সভাপতি।মাহবুব বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে বিদেশীদের কাছে সরকার বলতো, দেখুন আমরা আগেই বলেছিলাম বিএনপি নির্বাচন চায় না ওরা জঙ্গীবাদ। সে সুযোগ পাবে না। বিএনপি নির্বাচনে ভয় পায় না। সিটি নির্বাচনেই সেটা দেখা যাবে।সালাউদ্দিন আত্মগোপনই করুক বা তাকে কেউ অপহরণ করুক তাকে উদ্ধারের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর। অন্যথায় বুঝা যাবে দেশের সকল মানুষই নিরাপত্তাহীন বলেও মনে করেনি এই আইনজীবী নেতা।
এ সময় সিটি নির্বাচনে নামে তামাশা নির্বাচন না করার আহ্বান জানিয়ে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহব্বায়ক রুহুল আমিন গাজী বলেন, ৫ জানুয়ারি তামাশার নির্বাচন করেছেন। এবারও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেই রকম তামাশা করবেন না। তা তাহলে জনগণ এবার আর সহ্য করবে না। আর সিটি নির্বাচনই সরকারের শেষ সুযোগ বলেও মন্তব্য করেন বিএনইউজের (একাংশ) সাবেক এই সভাপতি।তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সরকার একতরফা নির্বাচন করেছে বলে অভিযোগ করে দলটি। এ কারণে এ সরকারে অধীনে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল। এ কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ অনিশ্চিত ছিল।তবে এখন নেতাদের বক্তব্যে স্পষ্ট যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ইতিমধ্যে তাদের তিন মেয়র পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন।
বিএনপির এই অবস্থান পরিবর্তনের ব্যাখ্যা দিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন।তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে বিদেশিদের কাছে সরকার বলতো, দেখুন আমরা আগেই বলেছিলাম বিএনপি নির্বাচন চায় না ওরা জঙ্গিবাদী।তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় না। সিটি নির্বাচনেই তা দেখা যাবে।তিনি আরও বলেন, সালাহ উদ্দিন আত্মগোপনই করুক বা তাকে কেউ অপহরণ করুক তাকে উদ্ধারের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। অন্যথায় বুঝা যাবে দেশের কোন মানুষেরই নিরাপত্তা নাই।সভায় আরো বক্তব্য দেন- ড্যাবের মহাসচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, এ্যাবের সভাপতি আক্তার হোসেন, সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিজু, প্রেস ক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ড্যাবের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম প্রমুখ।গত ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি।