দৈনিকবার্তা-সাতক্ষীরা, ২৯ মার্চ: সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর এলাকায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে লক্ষীদাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনের দেয়াল ধ্বসে ও টিনের চাল পড়ে দুইজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের দুইজনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের নাম জানা যায়নি ।নিহতরা হলেন দেবহাটার বালিয়াডাঙা গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে মৎস্য ঘের শ্রমিক সাদ্দাম হোসেন(২৫) ও একই উপজেলার সেকেন্দারা গ্রামের করিম গাজীর ছেলে ইঞ্জিনভ্যান চালক ফরিদুল ইসলাম(১৮)।হাসপাতালে ভর্তি আহতরা হলেন, সদর উপজেলার পদ্মশাখরা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র সাকিব (১৪) এবং আলিপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ইঞ্জিনভ্যান চালক মোশাররফ হোসেন (২৫) । তাদের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
শনিবার রাত দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই চারদিকে শোরগোল পড়ে যায়। সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকাকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।ভোমরা বন্দর এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ ও বিজিবি কর্মকর্তারা জানান, বঙ্গবন্ধু আদর্শ যুবসংঘের উদ্যোগে লক্ষীদাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠান চলছিল। এতে শত শত মানুষ যোগ দেন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে আরও উপস্থিত ছিলেন ভোমরা কাস্টমস্ সহকারি কমিশনার তারেক মাহমুদ, শিল্প ও বনিক সমিতির সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ ইউনিয়ন সেক্রেটারি আনারুল ইসলাম।
শিল্প ও বনিক সমিতির সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু জানান, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এসে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সাতক্ষীরা থেকে ফায়ার ব্রিগেডের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছায়। তার আগেই নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির জানিয়েছেন, স্কুলের ওই ভবনটি আগেই পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। কিছু উৎসুক মানুষ সেখানে উঠে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মারুফ হোসেন জানান, আহত দুজনের অবস্থা এখনও শংকামুক্ত নয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক শেখ জানান, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সবাইকে সরিয়ে নিয়েছে। সেখানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।