দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ মার্চ: বাজেট বরাদ্দ ও এর কার্যকর বাস্তবায়ন নিয়ে গবেষণা করে বাজেট ট্র্যাকিং প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) নামের একটি সংগঠন। রোববার সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের সম্মুখে বাজেট ট্র্যাকিং প্রতিবেদন উপস্থাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে সুপ্র।বাজেট ট্রাকিং প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ। প্রতিবেদনে বাজেটে জনগণের মতামতের প্রতিফলন হচ্ছে কিনা এবং বাজেট বরাদ্দ কিভাবে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যয় করা হচ্ছে।বাজেট প্রণয়নে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ছে না কমছে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।
গবেষণাটিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাজেট বরাদ্দ, এর প্রয়োগ, বিস্তৃতি ও ফলাফল অনুসন্ধান করা হয়।অনুসন্ধানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়,স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ মোট সাতটি মন্ত্রণালয়কে এই সমীক্ষার আওতায় এনে প্রাথমিক উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন বাজেট পুস্তিকা, বাজেট পত্র, জেলা বাজেট, জেন্ডার বাজেটের তথ্য বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। সেইসাথে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহ থেকে প্রজেক্ট, প্রোগ্রাম ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করাসহ ক্ষেত্র বিশেষে নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সূত্র ব্যবহার করা হয়। এবং মাঠ পর্যায়ের মানুষের মতামত জানতে সিলেট সদর উপজেলায় একটি ফিল্ড স্টাডিও করা হয়।সিলেট সদর উপজেলায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দের গতি প্রকৃতি বিশ্লেষন করে আবু ইউসুফ বলেন, উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন বাজেটের ক্ষেত্রে প্রধানত টপ ডাউন অ্যাপ্রোচ অনুসরণ করা হয়। টওতি অর্থবছরে বাজেট বরাদ্দের হার নিয়মিতভাবে বাড়লেও তা অংশগ্রহণমূলক বাজেট টওণয়নের ক্ষেত্রে তেমন ভূমিকা রাখছে না এবং কেন্দ্রীয়ভাবেই বাজেট প্রণয়ন,বরাদ্দ নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়।
তারপরও সুনির্দিষ্ট অপরিবর্তনীয় বাজেট বরাদ্দের কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গৃহীত উন্নয়ন পরিকল্পনা ও নীতি বাস্তবায়নে পূর্ণাঙ্গ পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব হয় না। কারণ কেন্দ্র থেকে অনেক ক্ষেত্রেই আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রয়োজনের পরিমাণ ও প্রকৃতি বোঝা সম্ভব হয় না।সাধারণত, সব উপজেলায় সমান বাজেট বরাদ্দ বণ্টন করা হয়, কিন্তু আয়তন জনসংখ্যা ও অন্যান্য নির্দেশকের বিচারে সব উপজেলা সমান নয়। তাই বাজেট বরাদ্দ ও এলাকাভিত্তিক বণ্টনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করা প্রয়োজন।এসময় তিনি কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে খসড়া বাজেট প্রকাশ করা, খসড়া বাজেট প্রকাশিত হবার পর অংশগ্রহণমূলক আলোচনার ব্যবস্থা করা।সুপ্র পরিচালক এলিসন সুব্রত বাড়ৈ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সুপ্র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তৈয়বুর রহমান প্রমুখ।