safe_image

দৈনিকবার্তা-পটুয়াখালী, ২৯ মার্চ: সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন! এছাড়া তার হাত পা থেকে শুরু করে পূরো শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের ছোপ ছোপ কালো আঘাতের চিহ্ন। আঘাত কারনে তার কিডনি ড্যামেজ অথবা নস্ট হতে পারে। নির্যাতনের কারনে মিজান বেস কিছুক্ষন অচেতন থাকায় মস্তিস্কেও সমস্যা হতে পারে। সে সব দিক বিবেচনা করে মিজানের শরীরের বিভিন্ন অংশের এক্সরে, সিটি স্ক্যান, কিডনিসহ রক্তের বিভিন্ন পরিক্ষার জন্য বলা হয়েছে’। পুলিশী নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক মিজানের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে এভাবেই সাংবাদিকদের কাছে মতামত ব্যক্ত করেন, পটুয়াখালী ২৫০ সয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক ও মিজানের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা: মোঃ মনিরুল আহসান।

পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নির্দেশে, পুলিশী নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক মিজানের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ রোববার সকাল ১০ টায় জেলা কারাগার থেকে মিজানকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আনা হয়। মেডিকেল টিমের সামনে সাংবাদিক মিজান কান্নাজরিত কন্ঠে সেদিনে রাতে বাউফল থানা হাজতে পুলিশ কর্তৃক নির্যাতনের বিবরণ দেন। এ সময় মিজান তার সারা শরীরে ক্ষতের চিহ্ন দেখান। মিজানের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখে আতকে উঠেন মেডিকেল টিমে থাকা চিকিৎসরা।এ দিকে হাসপাতেল আনার আগেই পুরো হাসপাতাল এলাকায় পুলিশী তৎপরতা দেখা যায়। হাসপাতালের আগত রোগীরা ধারনা করেন মনে হয় দেশের কোন টপ টেরর অথবা তালিকা ভুক্ত শীর্স সন্ত্রাশীকে হাসপাতালে আনা হবে। কিন্তু না তিনি হচ্ছেন পুলিশের বর্বর নির্যাতনের শিকার পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দৈনিক প্রথম আলো প্রতিনিধি সাংবাদিক মিজানুর রহমান।

উল্লেখ্য গত ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় বাউফল থানা পুলিশ সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে আটক করে থানা হাজতে হ্যন্ডক্যাপ পরিয়ে বাউফল থানার ওসি নরেশ চন্দ্র কর্মকার ও এএসপি সাহেব আলী পাঠানসহ কিছু বেপরোয়া পুলিশ সদস্য রাতভর নির্যাতন চালায়। পর দিন মিজানতে পুলিশের উপর হামলা ও পুলিশেল কাজে বাঁধা দানের অভিযোগে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালত গত ২৪ মার্চ মিজানের উপর নির্যাতনের ঘটনায় মিজানের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক ২৫ মার্চ সিভিল সার্জন মিজানের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন চার সদস্যর কমিটি গঠন করে।আজ ২৯ মার্চ মিজানকে পটুয়াখালী ২৫০ সয্যা হাসপাতালেল আনার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে।এদিকে মিজানের উপর হামলা কেন অবৈধ হবেনা এবং দোষী পুলিশ সদসদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক তাদের বেতন ভাতা থেকে মিজানকে ক্ষতিপূরন প্রদান করা হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছে। আগামী ১ এপ্রিল পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিজানের মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।