দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ মার্চ: বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনে আসছেন ভালো কথা। কিন্তু নির্বাচনের নামে তাণ্ডব চালিয়ে নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার ষড়যন্ত্র করবেন না। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসক পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসক কাউন্সিলের যৌথ আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিববুর রহমানের ৯৬তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।তিনি আরও বলেন, আপনারা নির্বাচনে আসবেন আবার অবরোধ তুলে নেবেন না, তা হবে না। অবরোধও তুলে নিতে হবে।জিয়াউর রহমান কোনো মুক্তিযোদ্ধাই নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, জিয়াকে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিশ্বাস করি না। কারণ তিনি যদি মুক্তিযোদ্ধা হতেন তবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাথে আঁতাত করতেন না।
নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যাপারে তিনি বলেন, যারা ভদ্র লোক তাদের জন্য লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড। যারা সন্ত্রাস করে, আগুন দিয়ে মানুষ মারে তাদের জন্য নয়। আপনারা যোগ্য লোক দেবেন না। সুবোধ বালককে সমর্থন না করে দুষ্ট বালককে সমর্থন করবেন আর লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড চাইবেন এটা হতে পারে না। আপনারা সন্ত্রাসীদের প্রার্থী দেবেন আর আইন তাদেরকে স্পর্শ করবে না, এমন লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।হরতাল প্রত্যাহার করায় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়ে কামরুল বলেন,‘আপনারা তো হরতালের বারোটা বাজিয়েছেন। আবার সেই হরতাল প্রত্যাহারও করেছেন। তবে এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ। কিন্তু মানুষ মারার কর্মসূচি এখনও জারি রেখেছেন।দেশ এখন দুই শিবিরে বিভক্ত মন্তব্য করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন দুটি শিবির। একটি হলো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অপরটি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের। যতদিন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি শেষ হবে না ততদিন পর্যন্ত লড়াইও শেষ হবে না।বিএনপি খোলা মনে নির্বাচনে আসেনি দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, খোলা মনে নির্বাচনে এলে অবরোধ প্রত্যাহার করেন। এটা আপনাদের সম্মানজনক এক্সিটের সুবর্ণ সুযোগ।
হরতাল প্রত্যাহার করায় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়ে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, হরতালের ১২টা বাজিয়েছেন। এখনও অবরোধ অব্যাহত রেখেছেন। নির্বাচনে আসবেন কর্মসূচিও অব্যাহত থাকবে, হতে পারে না। তারা খোলা মনে নির্বাচনে আসে নাই। বিভিন্ন কথাবার্তা বলেই যাচ্ছেন। খোলা মনে নির্বাচনে এসে থাকলে অবরোধও প্রত্যাহার করুন। সুস্থ রাজনীতিতে ফিরে আসুন।নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবির জবাবে কামরুল বলেন, হরতাল-অবরোধে যারা আগুন দিয়েছে, ককটেল- পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে তারা যেমন অপরাধী, তেমনি পরিকল্পনাকারীরাও অপরাধী। ভালো মানুষকে নির্বাচনে সমর্থন দিন।লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে।এই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তো সন্ত্রাসী,অপরাধীদের অবাধে চলতে দেবে না।তিনি বলেন, অপরাধী বা সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিলে আইন তাদের ছোবে না, এটা হতে পারে না।বুদ্ধিজীবীদের জ্ঞানপাপী আখ্যা দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ এ কিছু বুদ্ধিজীবী-জ্ঞানপাপী তাদের সমর্থন করেছে। এখনও কিছু জ্ঞানপাপী তাদের (বিএনপি) সমর্থন করছে। সংগঠনের সভাপতি সিরাজুল হকের সভাপাতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- বাংলাদশ মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনালের (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান, সাবেক সাংসদ ড.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউদ্দিজ্জামান ভুইয়া প্রমুখ।