দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ মার্চ: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বদিউজ্জামান বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখবে দুদক। রোববার দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহের চতুর্থ দিনে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, ড. ইউনূসের বিষয়টি এখনো আমরা দেখিনি। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও পাইনি। যদি তার বিরুদ্ধে কোনো কিছু (অভিযোগ) থেকে থাকে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখবো।বদিউজ্জমান বলেন, আমরা প্রতি বছর ২৬ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবস পালন করি। এবারও পঞ্চমবারের মতো এ দিবস পালন করতে যাচ্ছি। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে- দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের সাথে মানুষকে সম্পৃক্ত করা, দুর্নীতি সম্পর্কে অবহিত করা এবং আমাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানানো।সকালে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বিজয়নগর-পল্টন- প্রেসক্লাব হয়ে আবার দুদকে এসে শেষ হয়।
এদিকে,১৩কোটি টাকা বকেয়া করের বিষয়ে নোবেলজয়ী ড.মুহাম্মদইউনূসরোববার(২৯ মার্চ’২০১৫)জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট কর কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নি। ড. ইউনূস দেশের বাইরে থাকায় তার কর আইনজীবী মাহবুবুর রহমান আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।এর আগে গত রোববার(২২ মার্চ’২০১৫) এনবিআরের কর অঞ্চল-৬ (ঢাকা)-এর ১১৪ নং সার্কেল থেকে তাকে ২৯ মার্চ বেলা ১১টায় সংশ্লিষ্ট কর কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য অনুরোধ করা হয়।সূত্র মতে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের(করদাতা শনাক্তকরণ নম্বও টিআইএন ১৭৯১০২৮৬৯৫) বকেয়া করের পরিমাণ ১৩ কোটি ৮৫ লাখ ২৫ হাজার ১২০ টাকা। দেশে বা বিদেশে বিভিন্ন সময়ে পুরস্কার বা সম্মানী বাবদ ইউনূস যে অর্থ পেয়েছেন তাঁর ওপর এই কর হয়। যা তিনি পরিশোধ করেননি। ২০১১-১২, ২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪ করবর্ষের এ বকেয়া পরিশোধের জন্য এনবিআরের পক্ষ থেকে কয়েক দফা তাগাদা দেয়া হয় তাকে। পরে ড. ইউনূস বিষয়টিতে আদালতে গেলে কর আদায় ঝুলে যায়।এর আগে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠা করা গ্রামীণ ব্যাংক ও তার ৫৪ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়করের নথি তলব করে এনবিআর। ওই সময় কর বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চলগুলোকে চিঠি দিয়ে হালনাগাদ তথ্য দিতে বলা হয়।