bp901-500x280

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ মার্চ: হেপাটাইটিস সি মানেই মৃত্যু, অচিরেই এই ধারণা থেকে মুক্তি মিলতে চলেছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। আমেরিকার মতো এবার ভারতের বাজারেও আসছে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস মোকাবিলায় একটি বিশেষ ওষুধ। হেপাটাইটিস সি মানেই যে সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয়, তারও যে ওষুধ রয়েছে এবং সেই ওষুধ ক্রমশ নাগালের মধ্যে আসতে চলেছে।কিন্তু বিষয়টা বাস্তবে কী চেহারা নেবে, ওষুধ সংস্থাগুলির পারস্পরিক লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কম দামে ওষুধ বাজারে আনা সম্ভব হবে কি না, সে নিয়ে সংশয়ও রয়েছে।প্রতিবেশি ভারতে প্রায় এক কোটি মানুষ হেপাটাইটিস সি রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত হেপাটাইটিস সি-র যে ওষুধ পাওয়া যায় তাতে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ রোগী সুস্থ হন। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে বহু রোগীকে ওই ওষুধ দেওয়া যায় না। নতুন ওষুধে অন্তত ৯০ শতাংশেরও বেশি রোগী সুস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।

মূলত রক্তের মাধ্যমেই হেপাটাইটিস সি ছড়ানোর ভয় থাকে। ফলে বহু থ্যালাসেমিয়া এবং হিমোফিলিয়া রোগী এর শিকার হন। এছাড়া ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ থেকেও সংক্রমণ ছড়ায়।বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন হেপাটাইটিস সি চিকিৎসা না করিয়ে রেখে দিলে তার জের হতে পারে মারাত্মক। সিরোসিস বা লিভার ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকিই বেশি।চিকিৎসকদের মতে, হেপাটাইটিস সি চিকিৎসার জন্য যে ইঞ্জেকশন বাজারে চালু রয়েছে, তার অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। হিমগ্লোবিন কমে যায়, প্লেটলেট কমে যায়, মানসিক অবসাদ দেখা দেয়, হার্টের অসুখ বা জন্ডিস থাকলেও ইঞ্জেকশনটা নেওয়াই যায় না। তাই অনেকেই চিকিৎসার সুযোগ পান না। ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া পথ থাকে না। নতুন ওষুধে সেই সব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকবে না।ভারতের আটটি ওষুধ সংস্থা ইতিমধ্যেই এই ওষুধ তৈরির লাইসেন্স পেয়েছে। নতুন ওষুধে চিকিৎসার সময়সীমাও অনেকটাই কমবে। হেপাটাইটিস সি বেশির ভাগ রেক্ষত্রেই নিঃশব্দে থাবা বসায়। রোগটা অনেকটা ছড়ানোর পরে যখন ধরা পড়ে।