দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ মার্চ: নতুন প্রজন্মের স্বার্থে শিক্ষাকে রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে রাখার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা রুটিনমাফিক নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর কোনো ব্যাত্যয় হবে না। তিনি পরীক্ষার্থী-অভিভাবক, শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে সর্বাত্মক সজাগ থাকার পরামর্শ দেন।
রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে শনিবার ৩২ জন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ৩২ জন টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষদের হাতে গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।শিক্ষা পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত তিন মাসে শিক্ষার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে স্থবির হয়ে যাওয়া শিক্ষার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কাজ করুন। কারণ আমাদের সাড়ে পাঁচ কোটি ছাত্রছাত্রী তিন মাস ধরে ক্লাস করতে পারছে না, পরীক্ষা দিতে পারছে না, লেখাপড়া করতে পারছে না। এটি জাতির জন্য বিশাল ক্ষতি। এমনকি বছরের প্রথম দিনে সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে বই বিতরণের দিনে হরতাল দিয়ে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, প্রথম শ্রেণী থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত শিশুকিশোর-যুবাদের মধ্যে ভীতি, অনিশ্চয়তা, আতঙ্ক সৃষ্টি করে তাদের ওপর যে চাপ ও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তার ফলে নতুন প্রজন্মের আত্মবিশ্বাসে আঘাত হেনেছে। এই প্রজন্মই আগামী ৪০/৫০ বছর ধরে দেশ পরিচালনা করবে। তাদের আত্মবিশ্বাসের এ ক্ষতের কারণে জাতিকে খেসারত দিতে হবে।শিক্ষামন্ত্রী জেলা শিক্ষা অফিসারদের জন্য প্রদত্ত গাড়িগুলো সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যবহারের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, এই প্রথম টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবহারিক ক্লাসের প্রয়োজনে এ ধরনের গাড়ি প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ধরনের গাড়ি প্রদান করা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত সচিব স্বপন কুমার সরকার, টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্র“ভমেন্ট-ওও ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বনমালী ভৌমিক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ আলমগীর হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
টিকিউআই প্রকল্পের অধিনে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা শিক্ষা অফিসার- সিলেট, যশোর, পটুয়াখালী, বাক্ষ্মবাড়ীয়া, মৌলভিবাজার, পঞ্চগড়, টাঙ্গাইল, বগুড়া, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, বান্দরবান, নেত্রকোনা, মাদারীপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, গোপালগঞ্জ, ঝালকাঠি, ময়মনসিংহ, জামালপুর, খুলনা, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, সুনামগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নীলফামারী, ভোলাকে একটি করে নতুন জীপ গাড়ি প্রদান করা হয়।এছাড়া পুরানো ৩২টি জীপ গাড়ি নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নাটোর, রংপুর, পাবনা, দিনাজপুর, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, ভোলা, ররিশাল, মৌলভিবাজার, সিলেট, কক্সবাজার, চাঁদপুর, বাহ্মণবাড়ীয়া, পঞ্চগড়, খাগড়াছড়ি, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, জামালপুর, সুনামগঞ্জ, নীলফামারী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজকে প্রদান করা হয়েছে।