দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ মার্চ: বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য আরো সুসংহত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব সংস্থার মহাসচিব বান কি-মুন।শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন তিনি।শান্তিরক্ষা নিয়ে শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে সদস্য দেশগুলোর সেনা কর্মকর্তাদের প্রথম সম্মেলনে বক্তব্য দেন মহাসচিব।জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) চেম্বারে দিনব্যাপী ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু বেলাল মো. শফিউল হক অংশ নেন।সম্মেলনে বক্তব্যে বান কি-মুন বলেন, গত দুই দশক ধরে শান্তিরক্ষী বাহিনীকে প্রচণ্ড ঝুঁকির মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত দাঙ্গা-হাঙ্গামার ধরন পাল্টে যাচ্ছে। দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের কৌশলও সেভাবে সাজাতে হচ্ছে। কারণ শান্তিরক্ষার প্রথম শর্তই হচ্ছে দাঙ্গা থেকে বেসামরিক লোকজনকে রক্ষা করা।
গোলযোগের শান্তিপূর্ণ অবসানের মধ্য দিয়ে সামাজিক স্থিতি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি আইনের শাসন, লিঙ্গ সমতা এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপও নিতে হয় শান্তিরক্ষীদের। এজন্য প্রয়োজন শান্তির লক্ষ্যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার গ্রহণ।জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কিত আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল হার্ভ ল্যাডসোস এবং ফিল্ড সাপোর্ট সম্পর্কিত আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খের সম্মেলনে বক্তব্য দেন।সম্মেলনে বাংলাদেশসহ শতাধিক দেশের উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা অংশ নেন। বিভিন্ন দেশের সেনা প্রধানও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।শান্তিরক্ষা মিশনের উদ্যোগে এ ধরনের সম্মেলন এটিই প্রথম। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও রুয়ান্ডার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের এ সম্মেলন হল।
এ সম্মেলন প্রসঙ্গে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেন বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দাঙ্গাপূর্ণ অঞ্চলে বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ঘটছে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া অনেক স্থানেই চোরাগোপ্তা হামলা হচ্ছে। অতর্কিতে বেসামরিক এলাকায় আক্রমণের ঘটনাও ঘটছে।এ ধরনের হামলা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সেনা সদস্যদের করণীয় সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা হয় এই সম্মেলনে।হাইতিতে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি ইউনিট দেশটিতে যাচ্ছে।আগামী জুনে বিমান বহরটি হাইতিতে যাবে বলে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোমেন জানিয়েছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই বিমান ইউনিট পাঠানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।তিনি বলেন, এই ইউনিটেস হেলিকপ্টারসহ বিমান বাহিনীর ১৫৬ জন সদস্যের সঙ্গে বেসামরিক কর্মকর্তারাও থাকছেন।