Mojamel_Liberation+War_minister_45899

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ মার্চ: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের যারা বিরোধিতা করেছিল তাদের বিচারের জন্য ট্রুথ কমিশন গঠন করা উচিত। ট্রুথ কমিশনের মাধ্যমে দেশী বিদেশী চক্রান্তকারীদের বিচারের আওতায় আনা যাবে।পৃথিবীর বুকে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেই লক্ষ্যে একাত্তুরের পরাজিত শক্ররা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে।কোন চক্রান্ত দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না উলে¬খ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে।শনিবার সকালে শাহবাগ কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।বঙ্গবন্ধুও জাতীয় চার নেতা পরিষদ আয়োজিত বাঙ্গালীর স্বাধীনতা সংগ্রাম,মুক্তিযুদ্ধ :বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারি, আলহাজ্ব ফাইজুল ইসলাম, আবদুল হাই ভুইয়া কানু, এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, কাতার আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম প্রধান , অধ্যাপক এমদাদুল হক প্রমুখ।মোজাম্মেল হক মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ,মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধরু রাজনৈতিক কর্মসূচি সম্পর্কে আরো বলেন, বেঈমান জিয়াউর রহমান ও মোস্তাকগংরা একাত্তুরের যুদ্ধকালীন সময়েও নানা ষড়যন্ত্র করেছিল। একই কায়দায় আজ বেগম জিয়ার দল বাংলাদেশে ঘোষণা দিয়ে মানুষ হত্যা করছে।তিনি বলেন, যারা ঘোষণা দিয়ে মানুষ হত্যার পথ বেছে নিয়েছে তাদেরও ৭১’এর মানবতাবিরোধী অপরাধের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।তিনি বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযোগ হতেই প্রমাণ মেলে যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা চান বলেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারি বাংলাদেশের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক ইতিহাস জানানোর আহবান জানান। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল আগরতলায় মুজিব নগর সরকার গঠিত হওয়ার পর ১৭ এপ্রিল বৈদ্যনাথতলায় বর্তমান মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারের শপথ নিয়েছিল।ইয়াহিয়া খান ২৮ মার্চ জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে বিশ্ববাসীকে জানিয়েছিল, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। এটাও বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার আরেকটি বড় প্রমাণ।