full_998634082_1427547801

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ মার্চ: বিএনপি-সমর্থক সংগঠন শত নাগরিক এর আহ্বায়ক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে হলে পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন। এ জন্য মিছিল-মিটিং, সমাবেশ অপরিহার্য। পরিবেশ তৈরির বিষয়ে নির্বাচন কমিশন নতুন করে ভাববে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

৫ জানুয়ারির মত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে জনগণ সহ্য করবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ।শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় জাতীয় প্রেসক্লাব হলরুমে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) আয়োজিত বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতা ও শহীদ জিয়া শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ১৫৪টি আসনে ৪ কোটি ৮২ লক্ষ জনগণকে ভোটাধিকার থেকে রহিত করা হয়েছে। বাকি আসনে ৬০ শতাংশ জনগণ প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে যদি প্রশ্নবিদ্ধ করা হয় তাহলে তা বাংলাদেশের জনগণ সহ্য করবে না।

তিনি আরও বলেন,বর্তমান সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাথে কথা বলেছি। বর্তমান নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার দাবি জানিয়েছি। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা না হলে, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হলে মিছিল-মিটিং অপরিহার্য।কিন্তু এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে ইসি কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

জিয়াউর রহমানকে আওয়ামী লীগের একজন প্রতিষ্ঠাতা দাবি করে এমাজউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ অর্থাৎ বাকশাল গঠনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। এমনকি সে সময় আওয়ামী লীগও রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ ছিল।কিন্তু জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ সালে ইপিআর গঠন করেন, এ কারণে সব রাজনৈতিক দল রাজনীতি করার অধিকার ফিরে পেয়েছিলো। সে সময় আওয়ামী লীগও রাজনৈতিক দল হিসেবে পুনর্জীবিত হয়েছিলো। এ হিসেবে কেউ যদি বলে জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা তাহলে তা মিথ্যে নয়।

জিয়াউর রহমান দুইবার স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন দাবি করেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক।তিনি বলেন, জিয়া দুইবার স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। একবার চট্টগ্রামের কালুরঘাটে আরেকবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন।১৯৭২ সালের পর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম অবমূল্যায়ন শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ দাবি করে ইব্রাহিম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়নের দায়ভার আওয়ামী লীগের। এর দায়ভার আওয়ামী লীগকেই নিতে হবে।

২০ দলের আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন চলছে এবং চলবেই। এই আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পতন ঘটানো হবে।এ সময় আলোচনা সভায় পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমীন গাজী বলেন, অতীতে মামলা-হামলা দিয়ে কেউ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারেনি। শেখ হাসিনাও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না, শেখ হাসিনার পতন হবেই। শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে গাজী বলেন, ‘আপনার বাবাও এক দেশ এক দলের কথা চিন্তা করেছিলেন। কিন্তু তার পরিণতি ভালো হয়নি। আপনিও সে ভুল করবেন না। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার চিন্তা করবেন না।

সংগঠনের সভাপতি এম এ মালেকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি শওকত মাহমুদ, জাসাস সাধারণ সম্পাদক শিল্পী মনির খান, পেশাজীবী পরিষদের নেতা ডা. সিরাজউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।