দৈনিকবার্তা-চুয়াডাঙ্গা, ২৮ মার্চ: চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরের বেনীপুর সীমান্তবর্তী মাঠ থেকে এক বাংলাদেশী যুবককে জোর করে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। এরপর তাকে ফেরত চেয়ে বার বার অনুরোধ করে বিজিবি কিন্তু তাতে কোন সাড়া মেলে না । এক পর্যায়ে একই সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা এক ভারতীয়কে আটক করে বিজিবি। এরপর টনক নড়ে বিএসএফ’র। এ ঘটনার ১৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলে অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দু’দেশের দু’নাগরিককে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী অক্ষত অবস্থায় হস্তান্তর করেছে।
বিজিবি ও এলাকবাসী সুত্রে জানা গেছে, বৃহ¯পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে বেনীপুর সীমান্তের ডিসপোর্ট মাঠের ৬১/৭ এস পিলারের কাছ থেকে বাংলাদেশী মাদকাসক্ত যুবক বকুলকে (২৭) জোর করে ধরে নিয়ে যায় ভারতের ১৭৩ ব্যাটালিয়নের নোনাগঞ্জ ক্যা¤েপর টহলরত বিএসএফ জওয়ানরা। বকুল বেনীপুর গ্রামের ঘোষপাড়ার সামসু মন্ডলের ছেলে।খবর পেয়ে বকুলকে ফেরত চেয়ে বিএসএফকে পত্র দিয়ে কয়েক দফা অনুরোধ করে বিজিবি। কিন্তু বিএসএফ তাতে কোনো সাড়া দেয়নি। এক পর্যায়ে শুক্রবার সকালে ভারতীয় নাগরিক নোনাগঞ্জ গ্রামের রঞ্জন মল্লিকের ছেলে রাম মল্লিক (৪৫) ওই ডিসপোর্ট মাঠ দিয়ে ৬২ নং মেইন পিলার হতে আনুমানিক ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে ১০ বোতল ভারতীয় মদ ও ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ এলাকাবাসি তাকে আটক করে বেনীপুর বিজিবি ক্যা¤েপর টহল দলের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর টনক নড়ে বিএসএফ’র।
এ ঘটনার পর ভারতীয় নোনাগঞ্জ গ্রামবাসি রাম মল্লিককে ফেরত চেয়ে বিকেলে বিএসএফ ক্যা¤প ঘেরাও করে। অবশেষে বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে উভয় দেশের নাগরিককে হস্তান্তরের জন্য বিজিবি কাছে পত্র পাঠায়। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বেনীপুর সীমান্তের ডিসপোর্ট মাঠের ৬১/৬ এস পিলারের কাছে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে উভয় দেশের নাগরিককে হস্তান্তর করে বিজিবি-বিএসএফ।বিজিবির চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে.কর্ণেল এস এম মনিরুজ্জামান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিজিবির কুসুমপুর কো¤পানি কমান্ডার সুবেদার মোঃ রুস্তুম আলী এবং বিএসএফ’র ১৭৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ফতেপুর কো¤পানি কমান্ডার সার্ভেস কুমারের উপস্থিতিতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ’র হতে বাংলাদেশী নাগরিককে গ্রহণ এবং ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফ ’র কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশী নাগরিক বকুলকে অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশের দায়ে জীবননগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।