Lalmohan-pic-1-27-3-15-1

দৈনিকবার্তা-ভোলা,২৭ মার্চ: ভোলার লালমোহনে পুলিশের নেতৃত্বে কৃষকের বসত ঘরে ভাংচুর,লুট ও নারী সহ শিশুদের উপর হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আলম বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের এক সাথে এই রকম কর্মকান্ড দেখে হতবাক এলাকাবাসী। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কালমা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আলম বাজার এলাকার মৃত কেরামত আলীর ছেলে রফিকের সাথে একই এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে মাকসুদ উল্ল্যাহর সাথে প্রায় ২৪ শতাংশ জমি নিয়ে র্দীঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে মাকসুদ উল্ল্যাহ সহ তার ছেলেরা রফিকের পরিবারকে বিভিন্ন সময় হুমকি ও ভয়ভিতী দিয়ে আসে। এ ঘটনায় রফিকের স্ত্রী কহিনুর বেগম বাদী হয়ে মাকসুদ উল্ল্যাহর সহ তার পরিবারকে বিবাদী করে মোকাম বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। যার নং ৩১/১৫ (লাল)।

এঘটনায় মাকসুদ উল্ল্যাহ ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে লালমোহন থানায় কর্মরর্ত এএসআই বাশার সহ কয়েকজন কনেস্টেবল নিয়ে তার ভারাতিয়া সন্ত্রাসীরা পুলিশের নেতৃত্বে কৃষক রফিকের বসত ঘরে এলোপাতারী ভাবে ভাংচুর করে। এসময় ঘরে থাকা কহিনুর (৪০), মাহফুজা (৩০) ও রিনা বেগম (২০) বাধা দিলে পুলিশ ও ভারাটিয়া সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় আরজু (১৫) ,জান্নাত (১২) ও বিল্লাল (১১) নামের তিন শিশু তাদের আত্মীয়দের রক্ষা করতে এলে পুলিশ ওই শিশুদেরকে এলোপাথারী ভাবে লাথি ও লাঠি দিয়ে এলোপাথারী ভাবে হামলা করে ঘর থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ করেন আহতরা। স্থানীয়রা আরজু ও জান্নাতকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে লালমোহন সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এসময় তাদের বসত ঘরে থাকা স্বর্ণ-অলংকার নগদ টাকা পয়ঁসা সহ বিভিন্ন মালামাল নষ্ট ও লুট করে ওই সন্ত্রাসীরা নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে রফিকের পরিবার। পুলিশের সহ সন্ত্রাসীদের এমন কর্মকান্ড দেখে হতবাক এলাকাবাসী। এব্যাপারে অভিযুক্ত মাকসুদ উল্ল্যাহ জানান, আমি তাবলিগ জামায়াতে গেলে রফিক আমার জমিতে জোর করে ঘর উত্তলন করেন। পরে আমি থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তাদেরকে জাগা ছেড়ে দিতে বলেন। হামলা ও ভাংচুরের বিষটি তিনি অস্বীকার করেন । এব্যাপারে লালমোহন থানার এএসআই বাসার জানান, পুলিশ যখন তাদেরকে উচ্ছেদ করতে যায় তখন দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ বাসি দিয়ে দুই পক্ষকে ধাওয়া করেন । এতে কেউ ব্যাথা পেতে পারেন। তবে কোন লাঠি র্চাজ বা কোন প্রকার আঘাত করা হয়নি। লালমোহন থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করেছে। তবে কোন প্রকার লাঠি র্চাজ বা কোন আঘাত করা হয়নি।