দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৬ মার্চ: র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ( র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন,জঙ্গি, সন্ত্রাস ও নিরাপদ মুক্ত সমাজ গড়তে র্যাব বদ্বপরিকর৷তিনি বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরাস্থ র্যাব সদর দফতরের কনফারেন্স কক্ষে এলিট ফোর্স র্যাবের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন৷র্যাব মহাপরিচালক বলেন, র্যাব অল্প সময়ের মধ্যে গনণমানুষের বুকে স্থান করে নিয়েছে৷ আগামী দিনগুলোতেও অভিঞ্জতা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে এদেশের আপামর জনগণের জন্য র্যাব কাজ করতে চায়৷ তিনি বলেন, র্যাব জঙ্গি মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত ও নিরাপদমুক্ত সমাজ গড়তে চায়৷
তিনি র্যাবের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশবাসীকে এলিট ফোর্স র্যাবের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান৷প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন র্যাবের এডিজি (অপারেশন) কর্নেল জিয়াউল আহসান, এডিজি (প্রশাসন) কর্নেল আলতাব উদ্দিন আহমেদ, লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মূফতি মাহমুদ খান, র্যাবের গোয়েন্দা প্রধান লে.কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, ডিডি মিডিয়া মেজর রুম্মন, মেজর মাকসুদ আলম৷সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব ডিজি বেনজীর আহমেদ বলেন, নিরাপদ সমাজের জন্য জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দূর করতে হবে৷তিনি আরো বলেন, এদেশ ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে৷ এই প্রজন্মের দায়িত্ব হচেছ সম্মিলিতভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া৷র্যাবের নতুন ব্যাটালিয়ন করা হবে কিনা সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বেনজীর আহমেদ বলেন, র্যাব হচ্ছে একটি এলিট ফোর্স৷ দেশব্যাপী র্যাব কাজ করছে৷ ৭টি লৰ্য নিয়ে র্যাব সৃষ্টি করা হয়েছিল৷ র্যাবের এখন অনেকটা বৈচিত্র্য এসেছে৷ র্যাবকে সমপ্রসারণের প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি উলেস্নখ করেন৷
র্যাব মহাপরিচালক আরো বলেন, মানুষের মাঝে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে চাই৷ যে কোন ধরনের সমস্যা সমাধানে র্যাব কাজ করবে৷ আর র্যাবের চালিকা শক্তি হলো সাধারণ মানুষের ভালবাসা৷ দেশব্যাপী গত ২ মাসের অবরোধ ও হরতাল নাশকতা এবং জ্বালাও-পোড়াও সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে র্যাব ডিজি সাংবাদিকদেরকে বলেন, সন্ত্রাস মোকাবেলা করছে র্যাব৷র্যাব ডিজি আরো বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এখন অনেক ভাল৷ বিচার ব্যবস্থা অনুযায়ী র্যাব প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে কাজ করে৷ দেশ অপরাধমুক্ত করতে র্যাব নিরলসভাবে কাজ করে যাচেছ৷
র্যাবের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে আজ উত্তরাস্থ র্যাব সদর দফতরের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে৷ দিনব্যাপী এই কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল ৮টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, র্যাবের দরবার হলে র্যাব মহাপরিচালকের সাথে অন্যান্য সকল ব্যাটালিয়ন ও র্যাবের ঊধর্্বতন কর্মকতর্াদের সাথে বৈঠক, পুরস্কার বিতরণ৷
চলতি বছরের র্যাবের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য র্যাব কর্মকতর্া ও সদস্যদের মধ্যে বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেনবেনজীর আহমেদ৷এসময় র্যাবের অন্যান্য কর্মকতর্ারা উপস্থিত ছিলেন৷