begger

দৈনিকবার্তা-নীলফামারী, ২৫ মার্চ: নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণার পরেও তালিকাভূক্ত পুণর্বাসিত ভিক্ষুকরা ভাল নেই। অনাহারে- অর্ধাহারে কাটছে তাদের দিন। তাদের না খেয়ে থাকার কষ্টের কথা শুনছেনা কেউ। ভিক্ষুকদের করুণ অসহায়ত্বের দৃশ্য প্রতিদিন চোখে পড়ছে এলাকাবাসীর। জানা যায়, ১ হাজার ৪৮৯ জন ভিক্ষুককে তালিকাভূক্ত করে গত বছরের ৫ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে এই উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেছিলেন ভিক্ষুকদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে নিয়ে এসে প্রতিটি ভিক্ষার হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করা হবে। কিন্ত গত ৯ মাসে ভিক্ষুকদের খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। প্রতিদিন ভিক্ষুকদের অনাহারে- অর্ধাহারে থাকতে হচ্ছে। এ অবস্থায় ভিক্ষা করতে বের হলে তাদের উপর নেমে আসছে জেলের খড়গ। হামিদা বেওয়া নামে একজন ভিক্ষুক জানান, তাদের ভাত কাপড়ের ব্যবস্থা না করে শুধু শাসন করছেন ইউএনও। উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের সিঙ্গেরগাড়ি গ্রামের ছাবেদা বেওয়া (৫০) জানান, গত ঈদুল াাজহা থেকে এখন পর্যন্ত ৮০০ গ্রাম গোস্ত ও একটি কম্বল পেয়েছেন তিনি। মুশা গ্রামের জাহানারা বেগম এখন পর্যন্ত কিছুই পাননি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১২৯ জন ভিক্ষুককে দেওয়া হয়েছে ৫১৬টি হাঁস ও ৫১৬টি মুরগি, ৯৭ জন ভিক্ষুককে ৯৭টি ছাগল, চালের ব্যবসার জন্য ৪৭ জনকে নগদ অর্থ দেয়া হয়েছে। ১২ জনকে পিঠার দোকানের জন্য মুলধন দেয়া হয়েছে। ৭ জনকে খিলি পানের দোকানের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। ৪ জনকে রুটি বিস্কুটের দোকান, ২ জনকে কুটির শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত, ১ জনকে কলার দোকান, ২ জনকে সেলাই মেশিন, ১০ জনকে ভ্যান ৩টি পরিবারকে টিন দেয়া হয়েছে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে ৭২০ জন ভিক্ষুককে। বয়স্ক ভাতা ২৩০ জনকে, বিধবা ভাতা ১৭৫ জনকে প্রতিবন্ধী ভাতা ৫১ জনকে প্রদান করে পূনর্বাসিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিদ্দিকুর রহমান জানান, যাকে যেভাবে পারছি পূণর্বাসনের চেষ্টা করছি। এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।