দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৪ মার্চ: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম দরিদ্রদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সরকারকে সহযোগীতা করার জন্য গণমাধ্যমকে আরও অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন।তিনি বলেন, দেশে গরীব ও মধ্যবৃত্তের চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। ১৬কোটি মানুষের দেশে সরকারের একার পক্ষে সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে স্বাস্থ্য সেবানিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে। দুস্থ ও বঞ্চিত মানুষের চিকিৎসার জন্য অধুনিক সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য দেশের শিল্পপতিদের আবদান রাখতে হবে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে যক্ষ্মা বিষয়ক সাংবাদিকতায় ব্র্যাক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড- ২০১৫ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান।
ব্র্যাক এর ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ এ মুশতাক আর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বক্তব্য রাখেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দেশে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রনে সরকার নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা গুলোর সহয়তায় যথাপোযুক্ত পদ্ধতিতে ঘরে ঘরে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যক্ষ্মা একটি সংক্রামক রোগ, ফুসফুসের যক্ষ্মা রোগীর হাঁচি-কাশি থেকে বাতাসের মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়। তাই যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রনে সফলতা পেতে হলে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সামাজিক প্রতিরোধ বা আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে দেশের ভাষমান জনগোষ্ঠীর মেধ্য যক্ষ্মা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সমাজে বিদ্যমান যক্ষ্মাভীতি, কুসংস্কার, রোগীর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব, রোগ গোপন করার প্রবণতার সমস্যাগুলো নিরসনে সংবাদকর্মীদের ভূমিকা রাখতে হবে।যক্ষ্মা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সম্পৃক্ততা বাড়াতে ব্র্যাক বিগত ২০০৮ সাল থেকে ঢাকাসহ ৭টি বিভাগের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সাংবাদিকদের সম্মাননা প্রদান করে আসছে।এরই ধারাবাহিকতায় এবারের আয়োজন যক্ষ্মা বিষয়ক সাংবাদিকতায় :ব্র্যাক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড- ২০১৫।এবার প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অন-লাইন মিডিয়ার ২৩ জন সাংবাদিক এবং ৩টি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে এই সম্মাননা দেয়া হয়।