দৈনিকবার্তা-ঈশ্বরদী,২৪ মার্চ: ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এম.পি. বলেছেন, ভূমি অফিস তথা রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনাসকারী সকল সন্ত্রাসীর নিজেদের ও তাদের বাপ দাদার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করাসহ প্রচলিত আইন অনুযায়ী কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছি।
মঙ্গলবার ঈশ্বরদীর ভূমি মন্ত্রীর নিজবাসভবনে সম্প্রতি ভূমি অফিসগুলোতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিষয়ক এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এসব কথা বলেন।ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এম.পি. বলেছেন, এর আগে এদেশে অনেক সংগ্রাম হয়েছে, আন্দোলন হয়েছে কিন্তু কখনো শোনা যায়নি ভূমি অফিসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত ২০ দলীয় জোট সরকার বদলের নাম করে তাদের স্বার্থ-সিদ্ধির জন্য এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজ চালিয়েছে, এটা মূলত: স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র। তারা বিদেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণ করতে চেয়েছে এ রাষ্ট্রটি অকার্যকর। তাদের অপকৌশল জনগণের কাছে আজ পরিষ্কার হয়ে গেছে। ভূমি অফিস পোড়ানো একটি ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম, জঙ্গিবাদী কার্যক্রম। বিএনপি-জামায়াত গণতান্ত্রিক অধিকারের সীমারেখার বাইরে থেকে যে জঘন্য আন্দোলন চালিয়েছে তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। বাসের ভেতর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, ভূমি অফিস আগুন ধরিয়ে দেওয়া, স্কুল কলেজের পরীক্ষা বন্ধ করে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে একটি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী আতঙ্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালিয়ে গণতান্ত্রিক রাজনীতিক কফিনে সর্বশেষ পেরেক বিদ্ধ করেছে বেগম জিয়া, জামায়াত-বিএনপির জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসীরা।
ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, ভূমি অফিসে আগুন দেওয়ার ঘটনা জানার সাথে সাথে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার, সকল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে পরিচ্ছন্নভাবে ভূমি অফিস সুরক্ষার জন্য পরিপত্র জারি করেছি। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী ভূমি অফিসগুলো সংরক্ষণের জন্য প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ, চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ স্থানীয় সকল জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্থাপনা সুরক্ষা কমিটি ও সর্বপেশার মানুষের সমন্বয়ে গণ প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভূমি মন্ত্রী শরীফ বলেন, আইনের শাসন বাস্তবায়নে এ ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের দেশপ্রেমিক জনগণ ও পুলিশ প্রশাসনই যথেষ্ট বলে আমি মনে করছি।