দৈনিকবার্তা-বরিশাল, ২২ মার্চ: জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রগুলো সোলারের আলোতে আলোকিত হচ্ছে। বিদ্যুতের আলো পৌঁছেনি এমন এলাকায় সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র থেকে এখন যাবতীয় সেবা পাওয়া যাচ্ছে। ফলে গ্রামের বাসিন্দারা তাদের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, মেইল পাঠানো, অনলাইনে আবেদন করাসহ সবকল প্রযুক্তিগত সেবা ইউনিয়ন পরিষদেই পাচ্ছেন।
জেলার মুলাদী উপজেলার নদী বেষ্টিত নাজিরপুর ইউনিয়ন। এই গ্রামে এখোনো বিদ্যুতের আলো পৌঁছায়নি। একটি কাগজ ফটোকপি করতে হলেও নদী পেরিয়ে উপজেলা সদরে যেতে হয় এখানকার লোকজনদের। আর সাম্প্রতিক কালে ইউনিয়ন পরিষদে সোলার সিষ্টেম চালু হওয়ায় সেই ভোগান্তি থেকে রক্ষা পায় ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এখন আর তাদের অর্থ ও সময়ের অপচয় হয়না। খুব সহজে সল্প সময়ে নিজ এলাকায় সকল সুবিধা পাচ্ছেন। শুধু নাজিরপুর নয়, পার্শ্ববর্তী বাটামারা, চরকালেখান ইউনিয়নসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার ইউনিয়নে সোলার সিষ্টেম চালু করা হয়েছে।নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান জানান, তাদের ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। সোলারের মাধ্যমে বিদ্যুতই একমাত্র ভরসা। এর মাধ্যমে ইউনিয়নের তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের দাপ্তরিক কর্মকান্ড সম্পাদন করা হয়। ফলে এখানকার বাসিন্দাদের আর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। ইউনয়নেই তথ্য আদান-প্রদানসহ কাঙ্খিত সেবা প্রদান করা হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসনের আইটি শাখা জানায়, গত বছর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়ের জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় বিদ্যুৎবিহীন ইউনয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের সোলার সিষ্টেম স্থাপনের প্রকল্প গ্রহন করা হয়। তারপর থেকেই সোলারের আলোতে আলোকিত হতে থাকে ইউনিয়নের তথ্য সেবা কেন্দ্রগুলো। পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এ প্রকল্প কাজ করছে।জেলা প্রশাসক মো: শহীদুল আলম জানান, যেসব স্থানে এখোনো বিদ্যুৎ যায়নি সেসব স্থানে সোলারের পয়েন্ট বসানো হচ্ছে। গ্রামীন জনসাধারণের নিরবিচ্ছিন্নভাবে তথ্য ও সেবা প্রদানে সোলার সিষ্টেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এছাড় চলতি মাসে ৪৯টি ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রে সোলার সিষ্টেম বিতরণ করা হয়েছে। মূলত জনগণের দোরগোড়ায় যথাযথো সেবা পৌঁছে দিতেই এ উদ্যেগ চালু হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।