দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২২ মার্চ: এবারের বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের দৌড়ে ভারতকেই ফেবারিট হিসেবে মানছে বাজিকররা। বিশ্বকাপের ফাইনাল যতই এগিয়ে আসছে বিশ্বব্যপী ক্রিকেট জুয়ারীদের তৎপরতা ততই বেড়ে গেছে।নয়াদিল্লী পুলিশ সম্প্রতী অবৈধ এই বাজিকরদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
তদন্তের সূত্রমতে আরো ধারণা করা হচ্ছে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সেমিফাইনালেই বাজিকররা এবারের টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশী অর্থ লগ্নি করেছে। এ সম্পর্কে এই তদন্তের সাথে জড়িত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, সেমিফাইনালকে সামনে রেখে শুধুমাত্র ভারত থেকেই হাজার হাজার কোটি রুপি বাজিকরদের বাজারে উঠে গেছে। ভারত বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার ম্যাচে যেখানে বাজির দর ছিল সর্বোচ্চ ১৬:১৮ সেখানে ইতোমধ্যেই সেমিফাইনালের দর উঠে গেছে ৫০:৫২। সব মিলিয়ে দ্বিতীয়বারের শিরোপা ঘরে তোলার জন্য ভারতের পক্ষেই সবচেয়ে বেশী অর্থ লগ্নি করা হচ্ছে। সবদিক থেকে ভারত ফেবারিট থাকলেও বাজিকরদের অনেকেই মনে করছেন ২৬ মার্চের সেমিফাইনালে সিডনিতে ভারতের থেকে স্বাগতিকরা কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে। এজন্য শুরুর রেটটা মাইকেল ক্লার্কের দলের পক্ষেও অনেকে ধরেছে।
পুলিশ কর্মকর্তার মতে প্রাথমিকভাবে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৫২:৫০ অনুপাতে বাজি ধরা হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে যদি কোন বাজিকর অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে এক রুপি বাজি ধরে এবং অসিরা যদি ম্যাচটিতে জিতে যায় তবে ফিরতি হিসেবে সে ৫০ রুপি পাবে। অন্যদিকে ভারত জিতলে সে পাবে ৫২ রুপি। তবে তিনি আরো জানিয়েছেন, ম্যাচের সময় যতই গড়াবে বাজির মাত্রাও পরিবর্তিত হবে। ম্যাচ জয়ী দল ছাড়াও বাজিরকরা মূলত প্রতিটি বলের উপর বাজি ধরে থাকে, এখানে প্রতিটি বল কেমন হবে, রান কত হবে, উইকেট পড়বে কিনা, প্রথম ১০ ওভারে, পাওয়ারপ্লেতে, শেষ ১০ ওভারে কি হবে এসবই প্রাধান্য পায়। এছাড়া ব্যক্তিগত পাফরমেন্সতো রয়েছেই।
বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যকার ম্যাচের পরে দিল্লী পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ৫৭ বছর বয়সী এক বাজিকরকে আটক করে যার বাড়িতে ১১০টি মোবাইল ফোন পাওয়া যায় যেগুলো দিয়ে সে বাজির প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তিটি মুম্বাই থেকে বাজির দর গ্রহণ করছিল এবং পুরো প্রক্রিয়াটি দুবাই থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচিছল বলে সূত্রটি জানিয়েছে।