দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২১ মার্চ: শুক্রবার রাত ০৮.৫৫ টায় রাজধানীর রমনা মডেল থানাধীন ৫৪নং বড় মগবাজার আল্লারদান বিরিয়ানী হাউজ এর ৪র্থ তলায় অভিযান চালিয়ে জালটাকা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ জালিয়াতি চক্রের ০৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ। জালিয়াত চক্রের মূলহোতা মোঃ মনির খাঁন (২৪) সহ গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলো ১। ইয়াকুর ফকির (২০) ২। মোঃ রুবেল গাজী (২৫) ৩। মোঃ শাহাবুদ্দিন (৩২) ও ৪। মোঃ নাজমুল ইসলাম (১৮)। তাদের হেফাজত হতে অর্ধকোটি টাকা তৈরির অর্ধছাপা কাগজ, বিপুল পরিমাণ টাকা তৈরির কাগজ, ১২টি ফ্রেম, রং, নিরাপত্তা সুতা, ০৪টি ল্যাপটপ, ডেক্সটপ-০১টি, ০৩টি প্রিন্টার, ১০০০ টাকা লেখা জলছাপ দেওয়া কাগজ-১ ব্যান্ডেল ও ০২টি কার্টার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মনির খাঁন দীর্ঘ প্রায় ৬/৭ বছর যাবৎ জালটাকার ব্যবসার সাথে জড়িত । বিভিন্ন সময় সে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ী ভাড়া নিয়ে জাল টাকা তৈরির গোপন কারখানা স্থাপন করে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা, ভারতীয় রুপি, ডলার, ইউরোসহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের জাল টাকা তৈরি করে ঢাকাসহ সারাদেশে সিন্ডিটের মাধ্যমে বাজারজাত করেছে।তারা আরও জানায় যে, এই জালিয়াতি চক্র কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করে। এক গ্রুপ টাকার যাবতীয় নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত কাগজ তৈরি করে এবং মনির খাঁন এর চাহিদা অনুয়ায়ী তার নিকট সরবরাহ করে।
পরবর্তী সময়ে মনির খাঁন, ইয়াকুর ফকির, মোঃ রুবেল গাজী, মোঃ শাহাবুদ্দিন উক্ত কাগজে কম্পিউটার ও প্রিন্টারের মাধ্যমে টাকার ছাপদিয়ে তা দেশব্যাপী সরবরাহকারী গ্রুপের মাধ্যমে বাজারজাত করত। এই সরবরাহকারী গ্রুপে আছে মাহবুব মোল্লা, বাদশা, নজির, রশিদ, সাত্তার, সিরাজ, লরেঞ্জ@বাবু ও ইমন। মূলত ঈদ, পূজাসহ বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে বাজারে যখন টাকার চাহিদা বাড়ে তখনই এই চক্রটি সক্রিয় হয়ে উঠে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।ডিসি (পশ্চিম) শেখ নাজমুল আলম পিপিএম (বার) এর নির্দেশনায়, এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পিপিএম এর তত্বাবধানে, সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদ নাসের জনির নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।