দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২১ মার্চ: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দেশের নতুন প্রজন্ম মেধা ও প্রতিভায় বিশ্বমানের৷ তিনি বলেন, তাদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলাই আমাদের শিক্ষার লক্ষ্য৷ শিক্ষামন্ত্রী শনিবার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ মিলনায়তনে তৃতীয় সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০১৫-এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন৷শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে শিক্ষা সচিব মো. নজরম্নল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উ”চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, পরিচালন (প্রশিক্ষণ) প্রফেসর শামসুল হুদা এবং রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সুবহানী বক্তৃতা করেন৷
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈকিতভাবে দুর্বল হলেও মেধায় পিছিয়ে নেই৷ সারাদেশে আমাদের নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনন্য সাধারণ প্রতিভা৷ আমরা ২০১৩ সাল থেকে পর পর তিনবার সারাদেশে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত করছি৷ এতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিপুল সাড়া জেগেছে৷ এতে আমরা অসংখ্য মেধাবীদের খুঁজে পেয়েছি৷ তারাই ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার উদ্যোগে নেতৃত্ব দেবে৷
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মেধাবী হিসেবে চিহ্নিত হওয়া শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে সরকার সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে৷ তিনি সরকারের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মে মেধা বিকাশে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান৷উল্লেখ্য, এবার ২৫-২৬ ফেব্রম্নয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে, ১-৩ মার্চ উপজেলা পর্যায়ে, ৭-৯ মার্চ জেলা পর্যায়ে, ১২-১৫ মার্চ বিভাগীয় পর্যায়ে এবং ১৬-১৯ মার্চ থেকে ঢাকা মহানগর পর্যায়ে মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ এ প্রতিযোগিতায় ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির লাখ লাখ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে৷
৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি, ৯ম-১০ম শ্রেণি ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ৩টি গ্রম্নপে চারটি বিষয়ে প্রতিযোগিতা হয়৷ প্রতিযোগিতার বিষয়গুলো হলো- ভাষা ও সাহিত্য (বাংলা ও ইংরেজি), দৈনন্দিন বিজ্ঞান/বিজ্ঞান (পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান), গণিত ও কম্পিউটার এবং বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ (ইতিহাস, পৌরনীতি, অর্থনীতি ও সমাজবিজ্ঞান)৷ এসব অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে উপজেলা পর্যায়ে ৫ হাজার ৯১৬ জন, জেলা পর্যায়ে ৭৬৭ জন, বিভাগীয় পর্যায়ে ৯৬ জন এবং জাতীয় পর্যায়ে ১২ জনসহ মোট ৬ হাজার ৭৯২ জন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়৷