দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ২১ মার্চ: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকা থেকে এক আইনজীবীকে অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের কয়েক ঘন্টা পর শুক্রবার রাতে তাকে উদ্ধার করেছে র্যাব-১ সদস্যরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব সদস্যরা। অপহৃত আইনজীবীর নাম রুস্তম আলী (৩২)। গাজীপুর আদালতের আইনজীবী রুস্তম আলী গাজীপুর মহানগরের ইটাহাটা এলাকার মোঃ জিন্নাহ আলীর ছেলে। এঘটনা ভিন্নদিকে মোড় দিতে স্থানীয় যুবলীগের অফিস ভাংচুর ও তছনছ করা হয়েছে।
র্যাব-১-এর কমান্ডার মোহাম্মদ শোয়াইব জানান, জমিজমা ও মাছ চাষের ঘের নিয়ে স্থানীয় ইটাহাটা এলাকার বাসিন্দা ও গাজীপুর আদালতের আইনজীবী রুস্তম আলীদের সঙ্গে তার আত্মীয়দের বিরোধ চলছিল। এর জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষের লোকজন গাজীপুর মহানগরের চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকার ঈদগাহ মার্কেটের চেম্বার থেকে তাকে তুলে নিয়ে দিঘীরচালা এলাকায় স্থানীয় এক ডিস ব্যবসায়ির অফিসে আটকে রাখে ও মারধোর করে। খবর পেয়ে রাতেই র্যাব-১এর সদস্যরা অপহৃত আইনজীবীকে আহতাবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার নাম মোঃ নাছির উদ্দিন (২৮)। সে গাজীপুর মহানগরের আউটপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।এ ঘটনাকে অন্যদিকে মোড় নিতে প্রতিপক্ষরা স্থানীয় যুবলীগের ওই ডিস অফিসটি ভাংচুর করে। এসময় তারা সেখানে থাকা আসবাবপত্র তছনছ করে এবং অফিসে টাঙ্গানো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতির জনকের ছবি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা জড়িত বলে প্রচার চালায়।
গাজীপুর মহানগর যুবলীগ কর্মী ও আউটপাড়া ক্যাবল নেটওয়ার্কের স্বত্তাধিকারী নিঝুম হায়দার জানান, মজলিশপুর ইটাহাটা এলাকার আফজালদের সাথে তাদের চাচাতো ভাই রুস্তমদের পারিবারিক বিরোধ চলছিলো। শুক্রবার রাতে তাদের ওই বিরোধ মেটানোর জন্য তার ক্যাবল অফিসে শালিসী বৈঠক বসার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠক শুরুর আগেই ৮টার দিকে রুস্তম আলী, রানা মোল্লা, বাতেনসহ জামায়াত-শিবিরের মদদদাতা ১০/১৫জনের একটি দল তার অফিসে অতর্কিতে হামলা চালায়। এসময় তারা ওই অফিসের বিভিন্ন আসবাবপত্র তছনছ এবং অফিসে টাঙ্গানো প্রধানমন্ত্রী ও জাতির জনকের ছবি ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ তাৎক্ষনিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তবে তার অফিসে রুস্তমআলীকে ধরে নিয়ে মারধোরের কথা অস্বীকার করেন তিনি। ওই অফিসে ক্যাবল ব্যবসার পাশাপাশি তার দলীয় কার্যক্রমও চলে বলে জানান তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।জয়দেবপুর থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।