patuakhali_turiest_pic_07_35680

দৈনিকবার্তা-কলাপাড়া, ২১মার্চ: কুয়াকাটা ফের পর্যটক-দর্শনাথর্ীর পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে৷ হরতাল-অবরোধের ভয়কে জয় করে শত শত পর্যটক কুয়াকাটায় আসছেন৷ সেই সঙ্গে হোটেল-মোটেল মালিকদের মধ্যে স্বসত্মি ফিরে এসেছে৷ পর পর দু’টি বছর পুরো পর্যটন মৌসুম বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধের নামে নাশকতায় কুয়াকাটার হাজারো ব্যবসায়ীর ব্যবসায় ধস নেমেছে৷ লোকসানের বোঝায় কাহিল হয়ে পড়েছেন৷ যেখানে প্রতি মাসে লাখো টাকা লাভ করবেন, উল্টো লোকসানের ধকলে চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে গেছেন৷ দীর্ঘ প্রায় আড়াইমাস পরে পর্যটক-দর্শনাথর্ী ও পিকনিক পার্টির আগমন শুরম্ন হয়েছে৷ শিক্ষাসফরসহ কয়েকটি পার্টির শত শত নার-নারীর আগমনে গোটা সৈকত এলাকায় কোলাহলমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে৷ শুক্র-শনিবার দুপুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে৷ পর্যটকের আগমনে স্বসত্মির নিঃশ্বাস নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা৷ কুয়াকাটা-ঢাকা রম্নটের দিবা-নৈশ পরিবহনের বাস চলাচল করছে পুরোদমে৷

ঝিনুক দোকানি আবু সালেহ জানালেন, কয়েকদিন হলো কিছু বেচা-কেনা চলছে৷ কাওসার জানান, আবার বেচা-কেনা শুরম্ন হয়েছে৷ তবে আগের মতো নেই বলে কাওসারের ভাষ্য৷ অবস্থার ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করলেন৷ ডাব বিক্রেতা কাঞ্চন আলী জানালেন, লোকজনের আসা শুরম্ন হয়েছে৷ বেচাকেনা কিছু হচ্ছে৷ প্রত্যেক আবাসিক হোটেলে কিছু বোর্ডার আসতে শুরম্ন করেছে৷ হোটেল সানফ্লাওয়ারের মোঃ মাসুম জানালেন এমন তথ্য৷ এমনিতেই কলাপাড়াসহ পর্যটন এলাকা কুয়াকাটায় বিগত সাত বছরে বিএনপি জামায়াত জোট একটি মুহুর্তের জন্য মিটিং-মিছিল করতে পারেনি৷ খুবই নাজুক তাদের দলীয় কর্মকান্ড৷ প্রেসরিলিজ নির্ভর হয়ে আছে কার্যক্রম৷ আর হরতাল-অবরোধের পৰে মিছিল-মিটিং তো কখনই হয়নি৷ ফলে পুলিশ প্রশাসনও আছে রিলাঙ্ মুডে৷ নিরাপদ জোন হিসাবে চিহ্নিত থাকায় কুয়াকাটায় এখন আবার পর্যটক-দর্শনাথর্ীর আগমন ঘটছে৷

কুয়াকাটা বীচ পরিদর্শনে আসা পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক অমিতাভ সরকার জানান, কুয়াকাটার বীচকে পরিচ্ছন্ন এবং পর্যটককে আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে৷ শুক্রবার বিকালে তিনি জানান কুয়াকাটা কেন্দ্রীক নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা৷ কলাপাড়া থানার ওসি মোহাঃ আজিজুর রহমান জানান, এখানে কোন ধরনের সহিংসতা ঘটানোর সুযোগ নেই৷ তারা সর্বদা সচেষ্ট রয়েছেন৷ পর্যটক-দর্শনাথর্ীরা সম্পুর্ণ নিরাপদে ভ্রমন করতে পারবেন৷ একই বক্তব্য সদ্য শুরম্ন হওয়া টু্যরিস্ট পুলিশের ওসি শাহজাহান দেওয়ান মনির৷