দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২১ মার্চ: স্থগিতকৃত এসএসসি ও সমমানের ৮ ও ১০ মার্চের পরীক্ষা আগামী ২৭ ও ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ২৭ মার্চ, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে গত ৮ মার্চের এবং ২৮ মার্চ, শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নেয়া হবে গত ১০ মার্চের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র ঢালী কথা জানান।তিনি বলেন, সঙ্গীত ও বেসিক ট্রেডসহ সকল বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা আগামী ২৯ মার্চ, রবিবার থেকে ২ এপ্রিল, বৃহস্পতিবারের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রদান করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।তিনি আরো জানান, টানা অবরোধের মাঝে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের কারণে এসব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। গত ৮ মার্চ এসএসসি ও সমমানের যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল সেগুলো আগামী ২৭ মার্চ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে হবে।
আর ১০ মার্চের স্থগিত পরীক্ষাগুলো হবে ২৮ মার্চ শনিবার সকাল ১০টা থেকে।৮ মার্চ এসএসসিতে হিসাব বিজ্ঞান এবং দাখিলে রসায়ন (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা ছিল। ১০ মার্চ এসএসসিতে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং দাখিলে পদার্থ বিজ্ঞানের (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা নির্ধারিত ছিল।এর বাইরে ১১ মার্চের স্থগিত পরীক্ষাগুলোর নতুন তারিখ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন।এছাড়া সঙ্গীত ও বেসিক টেস্টসহ সব বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা আগামী ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।গত ৫ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে টানা অবরোধের পাশাপাশি হরতাল করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট।এরইমধ্যে ফেব্র“য়ারির শুরুর দিকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলে অবরোধ-হরতালের খাড়ায় পড়েন পরীক্ষার্থীরা।সরকার, শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ েেথকে পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি না দেওয়ার আহ্বান থাকলেও তাতে বিএনপির সাড়া মেলেনি।
বরং গত ৫ জানুয়ারি থেকে অবরোধ চালিয়ে আসা দলটি পরীক্ষার এই মাসে সাপ্তাহিক ছুটির ছাড়া প্রতিদিনই হরতাল চালাচ্ছে।অবরোধ-হরতালে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কেবল ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার পরীক্ষা নেওয়া হয়। অন্য দিনগুলোর পরীক্ষা একের পর পিছিয়ে যায়, যার কয়েকটি এরইমধ্যে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।২৭ হাজার ৮০৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন শিক্ষার্থী চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।বিএনপি-জামায়াত জোটের হারতালের কারণে গত দুই বছরও বেশ কয়েকটি পাবলিক পরীক্ষা পিছিয়ে যায়।
