দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ মার্চ: তিন সিটি করপোরেশন নিবার্চন নিয়ে প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে এখনো সিন্ধান্ত নেয়নি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোট। বিএনপি নেতারা বলছেন, আপাতত সরকার বিরোধী আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার দিকেই বেশী মনোযোগ তারা ।তবে প্রার্থী দিলে জয়ের আশা করছেন তারা।সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে পর্যালোচনা চলছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলে। একদিকে আন্দোলন, অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ তিন সিটি নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে চলমান আন্দোলন থেকে সরে এসে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কিংবা বর্জনের সম্ভাব্য লাভ-ক্ষতি নিয়েই এ পর্যালোচনা। সরকারের তরফে সিটি নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার পর বিএনপি ও জোটের কয়েকজন সিনিয়র নেতা, থিঙ্কট্যাঙ্ক, পেশাজীবীরা কৌশলে নানা মহলের মতামত নিয়েছেন। বিশেষ করে জোর দেয়া হয়েছিল বিএনপি ও জোটের তৃণমূল নেতৃত্বের। তবে মতামতে প্রাধান্য পেয়েছে নেতিবাচক মনোভাব। আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিগত স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও অভিজ্ঞতা এবং সার্বিক পরিস্থিতি মিলিয়ে তারা এ নির্বাচনকে দেখছেন সরকারের ফাঁদ হিসেবে।
ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পর বিএনপি ও জোটের একাধিক নেতা এবং সূত্র এমন তথ্য জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, শিগগিরই বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানানো হবে। সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সুপ্রিম কোর্ট বারের নবনির্বাচিত সভাপতি ও তার উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ডিসিসি ও সিসিসি নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে নীতি-নির্ধারকরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত হলে তা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নেবে বিএনপি। এদিকে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা জানান, আন্দোলন থেকে সরে গিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। বিএনপি এখন জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। এ আন্দোলনের সাফল্যের ওপর নির্ভর করছে সবকিছু।
চলমান আন্দোলনের যৌক্তিক পরিণতির মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন হলে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে শতভাগ বিজয়েও পরিস্থিতি উত্তরণের ন্যূনতম সম্ভাবনা নেই। তারা বলেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন চলমান আন্দোলন সরকারের নানামুখী প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও আড়াই মাস অতিক্রম করেছে। জনগণের সমর্থন আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। এখন তিনটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য আন্দোলন থেকে সরে এলে প্রশ্নবিদ্ধ হবে জাতীয় নির্বাচনের দাবিটি। তারা মনে করে, সরকার বিরোধী চলমান আন্দোলনকে দমন করতে সারা দেশে শ’ শ’ নেতাকর্মীকে গুম, খুন করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাবন্দি। ঘরছাড়া লাখো নেতাকর্মী-সমর্থক। এই অবস্থায় নেতাকর্মীদের রক্তের ওপর পা রেখে সরকারের পাতানো ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি। অঙ্গ ও সহযোগী দলের নেতারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দাবি করেছে বিরোধী জোটসহ নানা মহল। কিন্তু সরকার সেটাকে পাত্তা দেয়নি। এখন বিরোধী দল যখন আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতির দিকে তখনই সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে দৃষ্টি ফেরাতে চাইছে সরকার। এখানে বিএনপির অংশগ্রহণ হবে সরকারি কৌশলের বিজয়।
নেতারা বলেন, নির্বাচনের পথে হাঁটলেও সরকার বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেবার মতো পরিবেশ দেবে না।কেবল তৃণমূল বা অঙ্গসংগঠনের নেতারাই নয়, খোদ বিএনপি নীতি-নির্ধারক ফোরামের সদস্যরাও এ নির্বাচনকে ইতিবাচক বিবেচনা করছে না। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলে। শীর্ষ থেকে তৃণমূল সবার বিরুদ্ধেই মামলা। শ’ শ‘ নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। চোখে দেখা না গেলেও সারা দেশ আজ বিএনপি নেতাকর্মীর রক্তের ওপর ভাসছে। এ অবস্থার মধ্যে বিএনপি নির্বাচনে যেতে পারে না। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বলেন, আমরা আন্দোলনে আছি, আমাদের নেতা- নেত্রীরা কারাবন্দি। এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আমরা শিগগিরই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করবো। ওদিকে বিএনপি ও জোটের কয়েকটি সূত্র জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণ আন্দোলনের একটি কৌশল হতে পারে।
তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনের কারণে নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া। অনেকেই বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানের মুখ পর্যন্ত দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না। সিনিয়র নেতাদের বড় অংশটিই আত্মগোপনে বা নিরাপদ অবস্থানে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তৃণমূল কর্মীরা গ্রেপ্তার ও হতাহত হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি নির্বাচনে গেলে পাল্টে যেতে পারে পরিবেশ। তারা আরও বলেছেন, নির্বাচন করতে চাইলে সরকারকে প্রকাশ্য রাজনীতি ও জনসংযোগের সুযোগ দিতে হবে। আর এ সুযোগে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীরা আবার মানুষের সঙ্গে মিশতে এবং প্রকাশ্যে কাজ করতে পারবে। তারা মনে করেন, এমননিতেই রাজধানী ও চট্টগ্রাম মহানগরে আন্দোলন জোরদার করা যায়নি। ফলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এছাড়া সরকারকে ফের বুঝিয়ে দেয়া যাবে তাদের জনসমর্থন শূন্যের কোটায়। আওয়ামী লীগকে ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার সুযোগ করে দেয়া ঠিক হবে না। ভিন্ন ফরমেটে আন্দোলন ধরে রেখে তিন সিটি নির্বাচনের ফল অনুকূলে আনতে পারলে সরকারের ওপর নতুন করে চাপ বাড়বে। তবে দলের আরেকটি অংশ ও তৃণমূল নেতৃত্ব এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করছেন।
তাদের মতে, আগের পরিস্থিতি ও এখনকার পরিস্থিতি এক নয়। তখন জনসমর্থনের বিষয়টি সরকার ও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে পরিষ্কার করার বিষয় ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেছে, সরকার বিষয়টিকে পাত্তাই দেয়নি।যেখানে ৮টি সিটি করপোরেশনের জনমতকে সরকার গুরুত্ব দেয়নি সেখানে তিনটি নির্বাচনে জিতলেও সরকার আমলে নেবে না। তারা বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিএনপি দলীয় মেয়র ছিল। কিন্তু সেটা না সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে পেরেছে না বিরোধী দলের সহায়ক হয়েছে। এছাড়া বর্তমান সরকার অবস্থা বুঝে নিজেদের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে কৌশল পরিবর্তন করতে করতে দ্বিধা করে না। তারা জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনির্বাচিত সরকারের দোহাই দিলেও ঢাকা মহানগরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে সরিয়ে প্রশাসক বসিয়েছে। বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতার কাছে প্রশ্ন ছিল- বিগত স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় নেতা, বিকল্প প্রার্থী এমনকি আওয়ামী লীগের গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছিল ২০ দল। এবার সে পথে হাঁটবে কিনা। জবাবে নেতারা বলেছেন, হায়ার করা নেতা কিংবা আওয়ামী লীগের গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে বিজয়ী করেছে বিএনপি। কিন্তু পরবর্তী অভিজ্ঞতা সুখকর হয়নি। সেখানে রাজনৈতিকভাবে মোটেই লাভবান হয়নি বিএনপি। এছাড়া গ্রহণযোগ্য বিকল্প প্রার্থীও নেই।
তারা বলেন, এক বছর আগের পরিস্থিতিতে হলে সিদ্ধান্ত ইতিবাচকই হতো। বিএনপি চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র জানায়, সিটি নির্বাচনের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনা করে শিগগিরই ২০ দল নিজেদের অবস্থান জানাবে। তবে তারা প্রশ্ন তোলে বলেন, নির্বাচনে অংশ নিয়ে কি লাভ? বর্তমান সরকার জনগণের ভোটের কোন মূল্য দিচ্ছে না। জাতীয় নির্বাচনে যেমন দেয়নি, স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যেসব সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করলেও বিগত দিনগুলোতে মেয়ররা তাদের প্রাপ্য মর্যাদা পাননি। বিমাতাসুলভ আচরণের শিকার হয়েছেন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অর্থ বরাদ্দ ও উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পাদনে। সবচেয়ে বিবেচনার বিষয় হচ্ছে, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাদের একের পর এক কারাবন্দি ও বহিষ্কার করা হচ্ছে। তাহলে এতে ত্যাগ স্বীকার ও পরিম্রম করে প্রার্থীরা কিসের আশায়, কোন ভরসায় নির্বাচনে যাবে? এখন তো অনেকে প্রার্থী হবারই সাহস দেখাচ্ছে না। এদিকে ২০ দলের মুখপাত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলেছেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র মানে না, গণরায়ের পরোয়া করে না। নির্বাচনের মাধ্যমে দেয়া জনগণের রায় অগ্রাহ্য করার জন্য সরকার গাজীপুর, সিলেট ও রাজশাহীসহ অসংখ্য সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র এবং উপজেলা চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আটক করছে। রিমান্ডের নামে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য করে তাদের স্থলে দলীয় লোকদের বসানো শুরু করেছে।
এদিকে, ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে দলের মধ্যে দুই মত থাকার কথা জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেছেন, শিগগিরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।শুক্রবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য বলেন, বিএনপি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। নির্বাচনে যাবে কি যাবে না, কী করা উচিৎ- তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। শিগগিরই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে দল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ গত বুধবার রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ওই তিন করপোরেশনে ভোট হবে আগামী ২৮ এপ্রিল, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে ২৯ মার্চের মধ্যে।
দীর্ঘ আট বছর ধরে নির্বাচনের অপেক্ষায় থাকা ঢাকা সিটি করপোরেশন এখন দুই ভাগ হলেও ২০০২ সালে অবিভক্ত সিটির সর্বশেষ নির্বাচনে জয়ী হয়ে দীর্ঘদিন মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা। আর চট্টগ্রামের মেয়রের দায়িত্বে থাকা এম মনজুর আলমও ২০১০ সালের নির্বাচন পার হয়েছিলেন বিএনপির সমর্থন নিয়ে। মনজুর আলম নিজে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী হলেও দলের চেয়ারপার্সনের সিদ্ধান্তের’ অপেক্ষায় থাকার কথা বলেছেন। তবে বিএনপিপন্থি কাউন্সিলরদের অনেকেই প্রয়োজনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ভোটে দাঁড়ানোর ইংগিত দিয়েছেন ইতোমধ্যে।
ঢাকার পরিস্থিতিও মোটামুটি একইরকম। সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেমে হরতাল-অবরোধে থাকলেও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এই ভোটে অংশ নেওয়ার বিষয়টি সরাসরি নাকচ করেননি দলের কোনো নেতা।শুক্রবার সকালে বিএনপির ‘নিখোঁজ’ যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের গুলশানের বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সহানুভূতি জানানোর পর নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাহবুবুর রহমান।তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে দলে দুই রকমের ভাবনা-চিন্তা চলছে। তৃণমূল পর্যায়ে এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। একপক্ষ বলছেন, দলের ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। এই নির্বাচনে সরকারকে ফাঁকা মাঠে ছেড়ে দেওয়া উচিৎ নয়। আরেক পক্ষ বলছেন- কীভাবে নির্বাচন হবে? দলের প্রার্থী যারা হবে, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। নেতা-কর্মীরা অনেকেই জেলে আছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে কীভাবে নির্বাচনে আমরা অংশ নেব?
নিজের ব্যক্তিগত অভিমত তুলে ধরে সাবেক এই সেনা প্রধান বলেন,দেশের যে পরিস্থিতি আজ সৃষ্টি হয়েছে, আজ আমাদের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বেশি ভাবতে হবে। দশম যে সংসদ চলছে, তা একটি প্রশ্নবিদ্ধ সংসদ। তাই দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে এখন গুরুত্ব দিতে হবে।
তবে সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে দলে যে মত শক্তিশালী হবে সে অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত হবে বলে প্রত্যাশা করছেন মাহবুবুর রহমান।আবারও মেয়র হওয়ার লড়াইয়ে নামার আগ্রহ থাকলেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) মেয়র মনজুর আলম।দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে আসা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেন তা দেখার অপেক্ষায় তিনি।বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাড়া পেলেই নির্বাচনের ময়দানে নামার ইঙ্গিত দিয়েছেন তার এই উপদেষ্টা।তবে দলীয় সমর্থনের পাশাপাশি আল্লাহর ইচ্ছা, ব্যক্তিগত ভাবনা ও জনগণের চাওয়া বিবেচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন পাঁচ বছর আগে রাজনৈতিক গুরু আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে হারিয়ে মেয়র হওয়া মনজুর।চলতি মাসের শুরু থেকেই সিসিসি নির্বাচন নিয়ে নানা আলোচনা, তফসিল ঘোষণা আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গন সরগরম হলেও চুপ ছিলেন বর্তমান মেয়র।গত কয়েক দিনে নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্যই করেননি তিনি। গণমাধ্যমের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতেও অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিলেন।এদিকে, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে এক বৈঠকে চট্টগ্রামে দলের প্রার্থী নিয়ে অলোচনা করেন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শুক্রবার রাতে গণভবনে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতাদের ডেকে পাঠিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে,ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করার জন্য দল সমর্থিত প্রার্থীর বাইরেও আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। ইতিমধ্যে দলীয় সমর্থন নিশ্চিত হয়ে উত্তর ও দক্ষিণের দুই প্রার্থী আনিসুল হক ও সাঈদ খোকন ব্যাপক প্রচার, প্রচারণা ও গণসংযোগ শুরু করলেও দলীয় সমর্থন ও সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়েও নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন কেউ কেউ। তারাও নগরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য প্রচার, প্রচারণা চালাচ্ছেন। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় করছেন গণসংযোগ। দলীয় সমর্থনের বাইরে মেয়র নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, কোন অবস্থাতেই নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়াতে নারাজ তারা।আর এ নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে দলের হাইকমান্ড। দল সমর্থিত দুই প্রার্থীর পাশাপাশি আরও একাধিক নেতা নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ায় নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও অস্বস্তি। কেন্দ্রীয় নেতারা মনে করছেন, এই কঠিন সময়ে দলীয় একাধিক প্রার্থী থাকলে জয় নিশ্চিত করা যেমন দুরূহ হবে,তেমনি এ নিয়ে নেতাকর্মী ও ভোটারদের মাঝে বিভ্রান্তিও বাড়বে। এমন অবস্থায় দুই প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলেও এখন নতুন করে চিন্তা করা হচ্ছে। দলীয় সূত্র জানায় বিএনপি কোন প্রার্থীকে সমর্থন দিলে নতুন করে ভাবতে হবে আওয়ামী লীগকে। এক্ষেত্রে প্রার্থীও পরিবর্তন হতে পারে। আর বিএনপি সমর্থিত কোন প্রার্থী না থাকলে দলীয় প্রার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকতে পারে নির্বাচন। সূত্র জানায়, দুটি সিটি নির্বাচনে যে কোন মূল্যে দল সমর্থিত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে চায় আওয়ামী লীগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডিসিসি নির্বাচনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে দল সমর্থিত প্রার্থী নির্ধারণ করা হলেও প্রার্থীদের নিয়ে দ্বিমত ও অস্বস্তি রয়েছে ে খোদ আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে। বিশেষ করে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে এ নিয়ে রয়েছে আপত্তি। দলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় একাধিক প্রার্থী থাকায় মেয়র টওার্থী পরিবর্তনের চিন্তা করছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে এ নিয়ে অস্বস্তি থাকলেও মুখ খুলতে রাজি নন মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। তারা মানবজমিনকে জানিয়েছেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না। নির্বাচনের জন্য দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে যাদের সমর্থন করা হয়েছে তারা তাদের হয়েই কাজ করবেন।
গত ১৬ই েেফব্র“য়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন। এরপরই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠানো হয়। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা উত্তরে এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আনিসুল হক ও দক্ষিণে সাবেক মেয়র হানিফপুত্র ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খোকনকে দল সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে গ্রিন সিগন্যাল দেয়। ২৬শে ফেব্র“য়ারি গণভবনে দুই সম্ভাব্য প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়েন।
তবে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে এই দুই প্রার্থীর বাইরেও একাধিক প্রার্থী মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নিতে চান। এজন্য তারা কোনমতেই নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে দিতে রাজি নন। ইতিমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ঢাকা-১৫ আসনের সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার। তার দাবি, দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি এ লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঢাকা উত্তরে দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে আনিসুল হকের নাম ঘোষণা করা হলেও মেয়র পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন না বলে জানিয়েছেন কামাল মজুমদার।এমনকি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সংসদ সদস্য পদ ত্যাগ করেও নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। জানতে চাইলে কামাল মজুমদার মানবজমিনকে বলেন, আমি মেয়র পদে নির্বাচন করবো এটা নিশ্চিত। দল যদি আমাকে সমর্থন না দেয় তাহলেও আমি নির্বাচনে অংশ নেব এবং বিপুল ভোটে জয়লাভ করে মেয়র হবো।
তিনি বলেন, মেয়র নির্বাচন দলীয় নির্বাচন নয়। এখানে দলীয় বিষয় টেনে আনা নির্বাচনী আচরণ বিধির লঙ্ঘন। আমি নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। সেটা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও হতে পারে। কামাল মজুমদার বলেন, আনিসুল হক নতুন মানুষ। উনি ছিলেন ব্যবসায়ী নেতা। এলাকায় উনাকে কেউ চিনে না। আমি দীর্ঘ দিন এই এলাকার সংসদ সদস্য। এলাকায় স্কুল, কলেজ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অনেক কিছুই করেছি। এলাকার মানুষ আমাকে চেনে, জানে। তারা আমাকে মেয়র পদে দেখতে চায়। আমি নির্বাচন করলে ইনশাআল্লাহ বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো। এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম।
২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হাজী সেলিম। এখন মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের সমর্থন চান তিনি। এলক্ষ্যে দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্রুতই দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন হাজী মোহাম্মদ সেলিম। মেয়র পদে নির্বাচনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সভা, সমাবেশ, গণসংযোগ শুরু করেছেন তিনি। নগরজুড়ে শোভা পাচ্ছে হাজী সেলিমের নির্বাচনী শুভেচ্ছা সংবলিত বিলবোর্ড, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড। জানতে চাইলে হাজী সেলিম বলেন, জনগণ আমাকে মেয়র হিসেবে দেখতে চায়। আমি জনগণের সঙ্গে আছি। এ ছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের দু-একজন ছাড়া সব নেতা-কর্মীই আমার সঙ্গে আছে।
তিনি বলেন, আমি নেত্রীর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে খুব শিগগির দেখা করবো। আশা করি তিনি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন। দলীয় সমর্থন না পেলে আবারও সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন কি-না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ দল আমাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করবে এবং আমি নির্বাচন করে মেয়র হবো। এদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণে মেয়র প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেন। তার দাবি অনেক দিন থেকেই তিনি প্রচার ও গণসংযোগ করছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাঈদ খোকনকে মেয়র পদে প্রার্থিতার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। আমি মনে করি এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। তাছাড়া আমিও প্রর্থিতা থেকে সরে গেছি এরকম নয়।আমি মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী আগেও ছিলাম। এখনও আছি। প্রচার-প্রচারণায় কারও চাইতে আমি কখনই পিছিয়ে ছিলাম না। দলের দুঃসময়েও দলের জন্য অনেক কিছু করেছি। তিনি বলেন, আরও অপেক্ষা করবো। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আশায় থাকবো। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে আওলাদ হোসেন বলেন, দলীয় প্রধান যদি কোন সিদ্ধান্ত দেয় এর বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। যদি প্রার্থী হতে না পারি তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কোন ইচ্ছা আমার নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তরে কামাল মজুমদার ও দক্ষিণে হাজী মো. সেলিমের মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতার সায় রয়েছে।
এদিকে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দল সমর্থিতের বাইরে তারা কোন প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে অংশ নেবেন না। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ বলেন, মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে দুজনকে মনোনীত করা হয়েছে। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। দল যাদের সমর্থন দেবে আমরা তাদের পক্ষেই কাজ করবো। দক্ষিণের প্রার্থী সাঈদ খোকনের বিষয়ে তিনি বলেন, অতীতে তিনি দলে হয়তো এতটা সক্রিয় ছিলেন না। তবে সাবেক মেয়র হানিফের পুত্র হিসেবে তার পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। উত্তরের প্রার্থী হিসেবে আনিসুল হকেরও রয়েছে গ্রহণযোগ্যতা।
আমাদের ধারণা নগরবাসী আমাদের প্রার্থীদের বিমুখ করবে না। সহসভাপতি মুকুল চৌধুরী বলেন, যেহেতু দল থেকে দুজন প্রার্থী নির্ধারণ করে তাদের পক্ষে কাজ করতে বলা হয়েছে সেহেতু আমরা দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে দুই প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করবো। নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জন্য দলীয় হাইকমান্ড যে দুজন প্রার্থী নির্বাচিত করেছে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই দল যাদেরকে সমর্থন করবে আমরা তাদের পক্ষে কাজ করবো। নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন, মহানগরের অন্য নেতাদের কথা জানি না। মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলীয় সভানেত্রী যাদের মনোনীত করেছেন আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের পক্ষে কাজ করবো।
এছাড়া ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য দুই মেয়র প্রার্থী ঠিক হলেও চট্টগ্রামে কাউকে সমর্থন জানানো এখনও হয়নি।চট্টগ্রামে মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন ও কোষাধ্যক্ষ সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।তিনজনই চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রচার শুরু করেছেন। তবে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে প্রার্থিতা।২৮ এপ্রিল ভোটের দিন রেখে বুধবার ঢাকার দুটির সঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক মহলে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঠিক হয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে দলটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তার কোনো ভিত্তি পাওয়া যায়নি।