Tunisia in war against terrorism
দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯ মার্চ,২০১৫: রাজধানী তুনিসের বার্দো মিউজিয়ামে সন্ত্রাসী হামলায় ১৯ জন নিহত হওয়ার পর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ক্ষমাহীন লড়াইযের ঘোষণা দিয়েছেন তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বেজি কাইদ ইসেবসি৷বিবিসি বলছে, বুধবারের ওই হামলার পর তিনি বলেছেন, তিউনিসিয়া সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আছে৷সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জনই বিদেশি পর্যটক৷ এরা জাপান, ইতালি, কলম্বিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, পোল্যান্ড ও স্পেনের নাগরিক বলে জানিয়েছেন তিউনিসীয় কর্মকর্তারা৷ বাকি দুজন তিউনিসীয়৷ তাদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন৷

ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দুই বন্দুকধারী নিহত হয়৷এরপর থেকে বন্দুকধারীদের সহযোগীদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী৷ এ হামলার ঘটনায় বিদেশি পর্যটক ও তিউনিসীয় নিয়ে ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা৷ ঘটনার পর জাতীয় টেলিভিশনে সমপ্রচারিত ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইসেবসি বলেছেন,এইসব সংখ্যালঘু দানবরা আমাদের ভীত করতে পারবে না৷ ক্ষমাহীনভাবে এদের মূল উপড়ে ফেলা না পর্যন্ত আমরা এদের প্রতিরোধ করে যাব৷ গণতন্ত্রের জয় হবে, গণতন্ত্র বেঁচে থাকবে, বলেছেন তিনি৷ তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হাবিব এসিদ বলেছেন, আমাদের ইতিহাসের একটি সঙ্কটজনক সময় এটি, পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য প্রতিরোধ করার সময়ও এটি৷

জাদুঘরে হামলা যখন শুরু হয় তখন পাশের পার্লামেন্ট ভবনে জনপ্রতিনিধিরা সন্ত্রাসবিরোধী আইন নিয়ে আলোচনা করছিলেন৷ হামলা শুরু হওয়ার পরপরই পার্লামেন্ট ভবন খালি করে সবাইকে সরিয়ে নেয়া হয়৷ কিন্তু সন্ধ্যায় নজিরবিহীন এক অধিবেশনে আবার মিলিত হন প্রতিনিধিরা৷ হামলার পর অনেক তিউনিসীয় নাগরিক তুনিসের কেন্দ্রস্থলে জাদুঘরের সামনে রাস্তায় এসে পতাকা উড়িয়ে ও মোমবাতি জ্বালিয়ে হামলার প্রতিবাদ জানায়৷ বিশ্ব নেতারা এই হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সন্ত্রাস প্রতিরোধে তিউনিসিয়ার প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন৷ নিহতদের প্রতি গভীর শোক জানিয়ে কড়া ভাষায় হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন৷ সন্ত্রাসী সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মিত্র তিউনিসিয়ার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ অপরদিকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিউনিসিয়াকে পূর্ণ সমর্থন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷