দৈনিকবার্তা-পটুয়াখালী, ১৮মার্চ: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া বন্দরের কাছে রণগোপালদী নদীর তীরের জমি অবৈধভাবে দখল ও ভরাট করে গড়ে তোলা ১১০টি স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ শুরম্ন করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন৷ গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুব আলম, পটুয়াখালীর নির্বাহী হাকিম মঈন উদ্দিন খন্দকার এবং গোকুল চন্দ্র কবিরাজের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়৷
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনির নির্দেশে তার অনুসারীরা উলানিয়া বন্দরের পূর্ব পাশে রণগোপালদী নদীর পশ্চিম তীরের সাড়ে চার একরেরও বেশি জমি দখল করে বালু দিয়ে ভারট করান৷ পরে ভরাট করা জমিতে আধা শতাংশ করে পস্নট করে প্রতিটি প্লট দুই লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করে৷ এভাবে মোট ১২৩টি পস্নট বিক্রি করেন সাংসদ রনির অনুসারীরা৷
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম জানান, গত কয়েক মাস ধরে রণগোপালদী নদীর তীরের এ জমিসহ উলানিয়া বন্দরের বিভিন্ন দাগের সরকারি খাস জমি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছিল৷ প্রথম পর্যায়ে ১০৯টি উচ্ছেদ মামলা করা হয়৷ স্থাপনা ভেঙে দেওয়ার আগে মাইকিং করে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে৷ দখলকারীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে৷ বেশ কিছু আপত্তি ছিল, সেগুলোর শুনানি নিয়ে তা নিস্পত্তি করা হয়েছে৷ এরপর এক মাস আগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য চুড়ানত্মভাবে নোটিশ করা হয়েছে৷ মঙ্গলবার থেকে ১০৯ টি উচ্ছেদ মামলার বিপরীতে ১১০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়েছে৷