18-03-15-PM_AL Addressing-10

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ মার্চ: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সন্ত্রাসের রানী আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই জঙ্গি নেত্রীর স্থান বাংলার মাটিতে হবে না। যারা দেশের মানুষের ক্ষতি করবে তার ক্ষমা বাংলাদেশের মাটিতে হবে না। বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।এসময় জ্বালাও, পোড়াও, হত্যা ও জঙ্গি কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান শেখ হাসিনা।

বিএনপিকে জঙ্গির দল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দল মানুষ পুড়িয়ে মারে যে দল জঙ্গি কর্মকান্ড করে সে দলকে মানুষ কিভাবে ভোট দেবে? বিএনপির লক্ষ্য দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া। তার কারণ একটাই তারা দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। জঙ্গিরা যেভাবে কার্যক্রম চালায় ঠিক সেভাবে তারা দেশে জঙ্গি কার্যক্রমে লিপ্ত। এরাতো জঙ্গির দল। এই জঙ্গি দলের স্থানতো বাংলার মাটিতে হবে না।বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটনেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেশের মানুষকে শান্তিতে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই, তিনি সেসব সহ্য করতে পারেন না। মানুষের ওপর তার যেন অনেক ক্ষোভ। তিনি আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারেন। আমরা শিক্ষার্থীদের নতুন বই দিই, তিনি সেই বই পুড়িয়ে ফেলেন। আমরা সৃষ্টি করি, তিনি ধ্বংস করেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া আন্দোলনের নামে একের পর এক মানুষ হত্যা করে যাচ্ছেন। তিনি অবরোধ করছেন দীর্ঘদিন ধরে, ২ ফেব্রুয়ারি থেকে যখন ১৫ লাখ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিতে শুরু করবে তখন থেকেই তিনি হরতাল ডাকা শুরু করলেন। যেন পরীক্ষায় বাধা দেওয়াই তার কাজ। তার কাজ পেট্রোল-ককটেল মেরে মানুষ মারা। এ কাজে তিনি নিজের দলের সন্ত্রাসী বাহিনী ও জামায়াত-শিবিরকে ব্যবহার করছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন জাতির পিতার আদর্শে দেশ গঠন করে যাচ্ছি, দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছি, তখন মনে হচ্ছে যেন এ উন্নয়ন এবং এ দেশ গঠনে বাধা দেওয়া খালেদা জিয়ার কাজ। বঙ্গবন্ধু জাতিকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করে দিয়েছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করতে হলে শিক্ষিত জাতি দরকার। সেই আদর্শে আমরা শিক্ষার হার বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সেসব ভণ্ডুল করে দেন। শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে দেন। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, পড়াশোনা যেন খালেদা জিয়ার মোটেই পছন্দ নয়। আমরা বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের বই দিই। খালেদা জিয়া সেই বই পুড়ে ফেলেন। তিনি কেবল বই পোড়ান না, পেট্রোল-ককটেল মেরে নিষ্পাপ শিশুদেরও পুড়ে মারেন। এসব ঘটনা দেখলে কোন বাবা-মা চাইবেন তার ছেলেমেয়েকে স্কুলে দিতে। সেখানেই যেন খালেদার সফলতা। আসলে আমরা সৃষ্টি করি, তিনি ধ্বংস করেন। আমরা সাধারণ মানুষের জন্য রেলের উন্নয়ন করলাম, তিনি এই রেলের ওপরও অন্তত ৩৬ বার আক্রমণ করেছেন। যারা বাস-ট্রাকের ব্যবসা করে এমনকি ড্রাইভার-হেলপার তাদেরও পুড়িয়ে মারছেন। কোনো মানুষ যেন শান্তিতে না থাকতে পারে সেটা নিশ্চিত করাই যেন তার কাজ। তিনি অন্তঃস্বত্ত্বাকেও পুড়িয়ে মেরেছেন। আমরা চাই মানুষকে শান্তিতে রাখতে, কিন্তু সেটা তার সহ্য হয় না। কী ক্ষোভ তার মানুষের ওপর? শেখ হাসিনা বলেন, আসলে বাংলাদেশের উন্নয়ন তার সহ্য হয় না। তার দিলেতো আছে পেয়ারে পাকিস্তান। বাংলাদেশের উন্নয়ন ঠেকাতে তিনি জ্বালাও-পোড়াও ধ্বংসের রাজনীতি করে যাচ্ছেন। একটানা তিনি কার্যালয়ে বসে থেকে এসব করছেন। কে আছে যে নিজের বাড়ি ঘর রেখে অফিসে বসে থাকে এতো দিন?

দেশের বর্তমান রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানে বিশ্বের বাঘা বাঘা অর্থনৈতিক দেশগুলো মন্দার সময় উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে পারেনি, সেখানে আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ সার্বিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে যাচ্ছি। এটা বিএনপি নেত্রীর সহ্য হচ্ছে না। শেখ হাসিনা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে দল মানুষ পুড়িয়ে মারে, সে দলকে মানুষ কীভাবে ভোট দেবে?প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন, বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গিবাদের স্থান হতে পারে না। এজন্য দরকার জনমত সৃষ্টি করা। প্রতিটি মানুষকে জঙ্গিবাদের ব্যাপারে সচেতন করতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, আওয়ামী মহিলা লীগসহ সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। এক্ষেত্রে যারা বোমা মারবে, আগুন দেবে, তাদের পুলিশে ধরিয়ে দিন। আইনপ্রয়োগকারীদের হাতে সোপর্দ করুন। কেউ দেশের ক্ষতি করলে তার কোনো ক্ষমা নাই।জঙ্গিবাদের শাস্তি অবশ্যই হবে।খালেদা জিয়া জ্বালাও- পোড়াও করে দুর্নীতি মামলা থেকে রেহাই পেতে চান, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চান উল্লেখ করে সাফ জানিয়ে দেন, এভাবে আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে শেষ রক্ষা হবে না।

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা দেশের মানুষকে শান্তিতে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই, তিনি সেসব সহ্য করতে পারেন না। মানুষের ওপর তার যেন অনেক ক্ষোভ। তিনি আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারেন। আমরা শিক্ষার্থীদের নতুন বই দিই, তিনি সেই বই পুড়িয়ে ফেলেন। আমরা সৃষ্টি করি, তিনি ধ্বংস করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া আন্দোলনের নামে একের পর এক মানুষ হত্যা করে যাচ্ছেন। তিনি অবরোধ করছেন দীর্ঘদিন ধরে, ২ ফেব্র“য়ারি থেকে যখন ১৫ লাখ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিতে শুরু করবে, তখন থেকেই তিনি হরতাল ডাকা শুরু করলেন। যেন পরীক্ষায় বাধা দেওয়াই তার কাজ। তার কাজ পেট্রোল-ককটেল মেরে মানুষ মারা। এ কাজে তিনি নিজের দলের সন্ত্রাসী বাহিনী ও জামায়াত-শিবিরকে ব্যবহার করছেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন জাতির পিতার আদর্শে দেশ গঠন করে যাচ্ছি, দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছি, তখন তার কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে যেন এ উন্নয়ন এবং এ দেশ গঠনে বাধা দেওয়া খালেদা জিয়ার কাজ। বঙ্গবন্ধু জাতিকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করে দিয়েছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করতে হলে শিক্ষিত জাতি দরকার। সেই আদর্শে আমরা শিক্ষার হার বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সেসব ভণ্ডুল করে দেন। শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে দেন।

প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, পড়াশোনা যেন খালেদা জিয়ার মোটেই পছন্দ নয়। আমরা বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের বই দিই। খালেদা জিয়া সেই বই পুড়ে ফেলেন। তিনি কেবল বই পোড়ান না, পেট্রোল বোমা-ককটেল মেরে নিষ্পাপ শিশুদেরও পুড়ে মারেন। এসব ঘটনা দেখলে কোন বাবা-মা চাইবেন তার ছেলেমেয়েকে স্কুলে দিতে? সেখানেই যেন খালেদার সফলতা। আসলে আমরা সৃষ্টি করি, তিনি ধ্বংস করেন। আমরা সাধারণ মানুষের জন্য রেলের উন্নয়ন করলাম, তিনি এই রেলের ওপরও অন্তত ৩৬ বার আক্রমণ করেছেন। যারা বাস-ট্রাকের ব্যবসা করে এমনকি ড্রাইভার- হেলপার তাদেরও পুড়িয়ে মারছেন তিনি। কোনো মানুষ যেন শান্তিতে না থাকতে পারে সেটা নিশ্চিত করাই যেন তার কাজ। তিনি অন্তঃস্বত্ত্বাকেও পুড়িয়ে মেরেছেন। আমরা চাই মানুষকে শান্তিতে রাখতে, কিন্তু সেটা তার সহ্য হয় না। কী ক্ষোভ তার মানুষের ওপর?

শেখ হাসিনা বলেন, আসলে বাংলাদেশের উন্নয়ন তার সহ্য হয় না। তার দিলেতো আছে পেয়ারে পাকিস্তান। বাংলাদেশের উন্নয়ন ঠেকাতে তিনি জ্বালাও- পোড়াও ধ্বংসের রাজনীতি করে যাচ্ছেন। একটানা তিনি কার্যালয়ে বসে থেকে এসব করছেন। কে আছে যে নিজের বাড়ি ঘর রেখে অফিসে বসে থাকে এতো দিন?বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ঠিক সেই মুহূর্তে জাতির পিতার জন্মদিন উদযাপন করছি। যখন এ স্বাধীন বাংলাদেশে নিরীহ খেটে খাওয়া মানুষের উপর অমানবিক অত্যাচার করা হচ্ছে, অন্তঃস্বত্ত্বা নারীদেরও রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। যখন একাত্তর সালের মানবতাবিরোধীদের বিচার হচ্ছে, ঠিক সেই সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের সঙ্গে নিয়ে একটি দল, যে দল ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলো তারা এখন অযৌক্তিক আন্দোলন করছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরে জাতির পিতার হত্যার পর খুনিদের বিচার হয়নি। এই খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে।স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যে সংববিধান আমাদের দিয়েছিলেন, তার চার নীতি পরিবর্তন করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি সংবিধানে নিষিদ্ধ ছিলো। সেই যুদ্ধাপরাধীদের কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে ক্ষমতায় পর্যন্ত বসিয়েছিলো বিএনপি। এমনকি যুদ্ধাপরাধীকে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত বানিয়েছিলো তারা।