দৈনিকবার্তা-গোপালগঞ্জ, ১৮মার্চ: আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রাণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও গোপালগঞ্জ-০২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, বৃটিশরা জনগনকে ভয় দেখানোর জন্য প্রথম পুলিশ বাহিনী গঠন করা হয়৷ পরে তারা নিজেদের জন্য কমিউনিটি পুলিশ ব্যবস্থা চালু করে৷ তাই আগামীতে আমাদের পুলিশ বাহিনীকেও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে৷ তাহলে অপরাধ কমে আসবে৷ মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে৷বুধবার দুপুরে স্থানীয় সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ মাঠে কমিউনিটি পুলিশের সম্মেলনে প্রধান অতিথির ব্কব্যে তিনি এসব বথা বলেন৷
তিনি আরো বলেন, সালে সারা দেশে স্বল্প আকারে কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়৷ এতো বহত্ সম্মেলন এটাই প্রথম৷ আগামীতে গোপালগঞ্জে কোন অপরাধ থাকবে না৷ কারণ পুলিশ-জনতা যখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে তখন আর অপরাধ থাকবেনা৷ তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে এমনি অপরাধ কম৷ এখানে মাদকের প্রভাব আছে৷ কমিউনিটি পুলিশের মাধ্যমে এ জেলাকে মাদক মুক্ত করতে হবে৷ আমি চাই জঙ্গী, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত গোপালগঞ্জ৷সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, পুলিশের সাথে জনগনকে সম্পৃক্ত করে আমাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে৷ আমাদের পুলিশ বাহিনী দেশে ও বিদেশে দক্ষতা দেখিয়েছে৷ অনেক সীমাবন্ধতা থাকার পরও আমাদের পুলিশ বাহিনী সুনামের সাথে কাজ করছে৷ বিএনপি-জামায়াত যে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলাচ্ছে পুলিশ তা কঠোর হাতে দমন করছে৷ তা না হলে বাংলাদেশের অবস্থা ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, আফগানিস্তানের মতো হতো৷
স্বাগত বক্তব্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ একে এম শহীদুল হক বলেছেন, ১৮৬১ সালের পুলিশ অ্যাক্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী পরিচালিত হতো৷ বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন দমন করার জন্য তারা এই ্অ্যাক্ট করেছিলো৷ পুলিশের সাথে জনগনের দূরন্তের কারণে জনগন পুলিশকে তথ্য দিতে ভয় পেতো৷ এই দুরত্ব দূর করতে কমিউনিটি পুলিশ ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এতে পুলিশের ওপর জনগনের আস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে৷ জনগন দালালের মাধ্যমে থানায় যোগাযোগ করেন৷ এতে দালাল পয়সা নেয়, পুলিশকে ও পয়সা দেয়৷ থানাগুলোকে দালাল মুক্ত করতে হবে৷ তাহলে গনগনের পুলিশ প্রতিষ্ঠিত হবে৷
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাফুজুল হক নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক চৌধুরী এমদাদুল হক, জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুল রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, জেলা কমিউনিটি পুলিশের আহবায়ক খোন্দকার এহিয়া খালেদ সাদি, সদস্য সচিব জাহেদ মাহমুদ বাপ্পি প্রমূখ ব্ক্তব্য রাখেন৷অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জ জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে শত শত নারী-পুরুষ ও কমিটির সদস্যরা অংশ নেন৷পরে শহরের একটি বর্নঢ্য র্যালী বের করা হয়৷
প্রসঙ্গত, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ নিরসনের গোপালগঞ্জে কমিউনিটি পুলিশের সম্মেলনের আয়োজন করা গয়৷ কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রমে গতিশীল আনার জন্য নতুন করে সম্মেলনের মধ্যমে গোপালগঞ্জে থেকে শুরু করা হলো৷