দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ মার্চ: খাদ্যমন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শুরু। এ কাজটি করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। তিনি মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৫তম জম্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চাওয়া হয়েছিল। ওই ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হলেও এখনও তারা তৎপর রয়েছে।
কামরুল আরো বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্যও একাত্তর ও পঁচাত্তরের ওই একই অশুভ শক্তি দায়ী।জোটের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব ড. ইনামুল হক, নাট্য অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. দীপক কুমার দাস, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এডভোকেট বলরাম পোদ্দার ও জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা।
এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার স্বামী জিয়াউর রহমানের পদাঙ্ক অনুস্বরণ করে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন। আর তার ছেলে তারেক জিয়া দেশকে পাকিস্তানের মত অকার্যকর রাষ্টে পরিণত করার জন্য রক্তের হোলিখেলায় মেতে উঠেছে।তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কাঠের পুতুল হয়ে বসে আছেন। আর তার ছেলে তারেক রহমান দেশকে জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বিদেশ থেকে নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছে।