hili (1)

দৈনিকবার্তা-হিলি, ১৬ মার্চ: যখন হিলি স্থলবন্দরের বানিজ্যে প্রসার ঘটছে,ঠিক তখনই স্থলবন্দরের জায়গা বৃদ্ধিসহ আধুনিক অবকাঠামো নির্মানের কাজ শুরু করেছেন সরকার। এতে করে আমদানি-রপ্তানিকারকদের পন্য সরবরাহে যেমন সুবিধা হবে, বাড়বে কর্মসংস্থান। তেমনি সরকারের ঘরে আসবে বিপুল টাকার রাজস্ব।

১৯৮৬ সাল থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয় । এদিকে আমদানি-রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কতৃপক্ষ ১০ একর জমির উপর নির্মান করে আধুনিক অবকাঠামো। রাজস্ব আদায়ের বিষয়টি সরকার বিবেচনায় নিয়েই ২০০৭ সালে বে-সরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেড এর কাছে ২৫ বছর মেয়াদে ইজারা দেন। বাড়তে থাকে সরকারের সাফল্য রাজস্ব । বন্দরের জায়গা সল্পতার কারনে আমদানী-রফতানি ব্যহত হওয়ায় স্থলবন্দর কতৃপক্ষ আরও ১২ একর জায়গা অধিগ্রহন করেন। আর এই অধিগ্রহনকৃত জায়গায় পানামা পোর্টকর্তৃপক্ষ প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে অবকাঠামো নির্মানের কাজ করছে দ্রুত গতিতে।

আমদানী কারক, জামিল হোসেন চলন্ত জানান স্থলবন্দরের আধুনিক অবকাঠামো আরো নির্মান হলে আমদানি-রপ্তানি বেড়ে যাবে। পাশাপাশি বাড়বে সরকারের রাজস্ব।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের হিলিবন্দর প্রতিনিধি আতিকুল ইসলাম জানান, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দর উন্নয়নে আরও ১২ একর জমি অধিগ্রহন করেছে। পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডকে যথারিতি কাজ করার অনুমতিও দিয়েছে। পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেড এর সহকারী ম্যানেজার এস. এম. হায়দার জানান, অধিগ্রহনকৃত জায়গায় পানামা কতৃপক্ষ আনুমানিক ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে’র সম্প্রসারন কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সীমানা বাউন্ডারি নির্মান, বালি ভরাট কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সপ্রসারিত কাজের যেখানে প্রস্তাবিত গেট নির্মান হবে সেই স্থানের অধিগ্রহনকৃত একটি জমিতে মামলা থাকায় কাজের বিঘিœতার সৃষ্টি হচ্ছে। মামলা নিস্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে।হিলি কাষ্টমস সহকারী কমিশনার মহিববুর রহমান ভুঁইয়া জানান, বন্দর ব্যবহারকারি আমদানী রপ্তানি কারকেরা তারা পন্য সরবরাহে সুবিধা পাবে। বন্দরে বাড়বে কর্মসংস্থান। সরকারও পাবে দ্বিগুন রাজস্ব।