দৈনিকবার্তা-ময়মনসিংহ,১৬ মার্চ: ময়মনসিংহের সামীন্তবর্তী টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার গুপ্তবৃন্দাবনে সহ¯্রাধিক বছরের প্রাচীন রাধা কৃঞ্চের স্মৃতি বিজড়িত নূয়ে পড়া কৃঞ্চতমালের ডাল থেকে নতুন করে গঁজিয়ে উঠছে তমালবৃক্ষ। মঙ্গলবার থেকে হিন্দুদের অষ্টপ্রহর ব্যাপী হরিনাম সংকীর্তন শুরু হবে। বসবে বারুণী মেলা। ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নের গুপ্তবৃন্দাবন গ্রামে দ্বাপর যুগে কৃঞ্চ তার রাধাকে নিয়ে অবতার হয়েছিলেন। রাধাকৃঞ্চ গুপ্তবৃন্দাবন গ্রামে কৃঞ্চতমাল বৃক্ষে গোপন লীলায় মত্ত থাকতেন। ফলশ্রুতিতে এ গ্রামটি গুপ্তবৃন্দাবন নামে পরিচিত লাভ করে।
সচিত্র বৃহৎ কৃঞ্চলীলা সারাবলী বৃন্দাবন লীলা, মথুরা লীলা ও দ্বারকা লীলা সম্বলিত মূল ও অখন্ড সংস্করণ ও টিকাটিপন্নী ও স্থান বিশেষ ব্যাখা সম্বলিত শ্রী রাধা মাধব ঘোষ কর্তৃক পদœছন্দে বিরচিত ও শ্রী দিলীপ মুখোপাধ্যায় পৌরানীকোত্তম কর্তৃক সম্পাদিত সম্পাদিত গ্রন্থ বিরজার উপাখ্যানে বর্ণিত আছে, শ্রীদাম, সুদাম, বসুদাম, সুবল, মধুমঙ্গল, সুবাহু অর্জূন, গন্ধর্ব্ব দাম, স্তোককৃঞ্চ, মহাবল ও মহাবাহু এই বার জন (মতান্তরে) ষোল জন বিখ্যাত ব্রজের গোপাল মর্তে আর্বিভাবের আগেই বিঞ্চুরূপী কৃঞ্চ বৃন্দাবনে সকল সঙ্গী ও সঙ্গীনীদের গুপ্তবৃন্দাবন নির্মান করে লীলা বিহার করছিলেন।
এক সময় গুপ্তবৃন্দাবন গ্রামে জাম ,জামরুল, আজগী ও চাপালিশসহ তরুতমাল ঘেরা অরণ্য ছিল। কোকিলের কুহুতান ভ্রমরের গুঞ্জন, দোয়েল, কোয়েল পিক পাপিয়ার কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে থাকতো। ছিল না জনমানবের পদচি। রাধার সাথে কৃঞ্চ মহানন্দে দোলনায় দোল খেতেন ফাল্গুনী দোল পূর্ণিমা তিথিতে। আজ আর সেই গহিন অরণ্য নেই। রাধা কৃঞ্চের গোপন নিকেতন পূর্ন তীর্থধাম কালের অতল গর্ভে বিলুপ্ত। বয়সের ভারে নুজ হয়ে রাধা কৃঞ্চের চরণধন্যে কৃঞ্চতমাল মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। প্রাচীন এ কৃঞ্চতমালের শাখা থেকে জন্ম নিচ্ছে নতুন কৃঞ্চতমাল।
প্রতি বছর চৈত্রের বারুনীতে সাগর দীঘিতে হয় বারুণী ¯œান। রাধা কৃঞ্চের গোপন লীলা ভূমি গুপ্তবৃন্দাবনে হয় অষ্টপ্রহর ব্যাপী মহানামযঞ্জ। মঙ্গলবার সকাল থেকে ঐতিহাসিক গৃপ্তবৃন্দাবনে হিন্দু ধর্মালম্বীরা দলে সমেবেত হবে। ভারত থেকেই প্রতি বছর আসে পূর্নার্থীরা। শ্যামরায় মদমোহন বিগ্রহ মন্দিরের সাধারন সম্পাদক প্রকাশ চন্দ্র সাহা জানান, সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।