দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৫ মার্চ: আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সিটি করপোরেশন নির্বাচন চান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক৷ সোমবার (১৬ মার্চ) বিকেলে পৌনে ৫টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান৷এর আগে তিনি ইসি সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে ঘন্টাখানেক বৈঠক করেন৷
শহীদুল হক বলেন, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন হলে আমাদের সুবিধা হয়৷ আমরা সিইসিকে একথা জানিয়েছি৷ তিনি আমাদের দেওয়া প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন৷আইজিপি বলেন, নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ আছে৷ দেশে যে রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা বলা হচ্ছে, আসলে কিন্তু তা নয়৷ ঢাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে৷ মানুষ নির্বাচনমূখী হলে পরিবেশ আরো সুন্দর হবে৷
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জনগণই নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে৷ কেননা মানুষ যখন নির্বাচনমূখী হবে তখন নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না৷অপর এক প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক আরও বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের দুই অংশ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আলাদা আলাদা দিনে করতে বলেছি৷ সম্ভবত, একই দিনে তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷
এদিকে, মোল্লা মাসুদ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানার একদিন বাদে সোমবার নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক সাত খুনের আসামি নূর হোসেনকে ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় আট মাসেও সফল না হওয়ার মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদকে ফেরত আনার আশাবাদ প্রকাশ করেছেন ভারতে গ্রেপ্তার এই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে আসামি প্রত্যার্পণ চুক্তির আওতায় ফিরে পাওয়ার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ভারতের আদালত চাইলে পুশব্যাকের মাধ্যমে আনা হবে মোল্লা মাসুদকে৷ এতে বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা কম৷
অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মোল্লা মাসুদ ভারতে গ্রেপ্তার হন৷ একই অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে গত বছরের জুন মাসে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেন৷নূর হোসেনকে ফেরত আনার চেষ্টার কথা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও পুলিশের কাছে শোনা গেলেও এতদিনেও তাতে সাফল্যের কোনো খবর পাওয়া যায়নি৷আইজিপি সোমবারও বলেছেন, নূর হোসেনকে যে কোনো সময় দেশে ফিরিয়ে আনা হবে৷
২০০১ সালে যে ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা করে তাদের ধরিয়ে দিতে বাংলাদেশ সরকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, তাতে নাম ছিল মোল্লা মাসুদের৷তখন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া মোল্লা মাসুদের নামে ইন্টারপোলের রেড নোটিসও ছিল৷
এই শীর্ষ সন্ত্রাসী ভারতে পালিয়ে ছিলেন বলে গোয়েন্দাদের ধারণা ছিল৷ বিভিন্ন সময় পলাতক সন্ত্রাসীদের যে তালিকা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে দেওয়া হয়, তাতে মোল্লা মাসুদের নাম ছিল৷শহীদুল হক বলেন, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে পলাতক সন্ত্রাসীরা বিদেশ থেকে অপরাধ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে৷ তবে মোল্লা মাসুদের বিষয়ে এমন কোনো তথ্য তারা পাননি৷রাজধানীর মগবাজার এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়া মাসুদ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছিলেন বলে মোল্লা মাসুদ নামে পরিচিতি পান৷