Bhola-pic-2-Elis-Nidon16-3-15

দৈনিকবার্তা-ভোলা , ১৬ মার্চ:  ভোলার মেঘনায় ও তেতুঁলিয়া নদীতে নিষেজ্ঞা উপেক্ষা করে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে দেদারসে জাটকা নিধন চলছে৷ দেখার যেন কেউ নেই৷ প্রতিদিন প্রশাসনের নাকের ডগায় জেলেরা জাটকা মাছ নিয়ে বিক্রি করছে জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে৷

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাছের বংশ বিসত্মারের লক্ষ্যে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পযনর্ত্ম এই দু’ই মাসে মেঘনা নদীর চর ইলিশা থেকে মনপুরার চর পেয়াল পযনর্ত্ম ৯০ কিলোমিটার ও তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চর রম্নস্তুম পযনর্ত্ম ১শ কিলোমিটা জায়গা মাছের অভয় আশ্রম এলাকায় ঘোষণা করেছে সরকার৷ এই এলাকার মধ্যে এই দু মাস সকল প্রকার মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ এবং আইনত দন্ডনীয় অপরাধ৷ কিন্তু জেলেরা এসবের কিছুতেই তোয়াক্কা করছে না৷

তারা প্রকাশ্য মাছ ধরছে দিনে রাতে দেদারসে৷ বাসত্মবতা হচ্ছে, আইন অমান্যকারী ও আইন প্রয়োগকারীদের মধ্যে এক রকম কানামাছি খেলা চলছে বলেও একাধিক সূত্র জানায়৷ জেলেরা অনেকটা খোলা মেলা ভাবেই এসকল মাছ ধরছেন৷ আবার কিছু কিছু জেলেরা নিষেধাজ্ঞা কী তাও জানে না৷ জেলার দৌলুতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন সহ ৭ উপজেলার গ্রামে গঞ্জে ফেরি করে এখন বিক্রি হয় জাটকা সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ৷

এতে মাছের বংশ বৃদ্বি নিয়ে আশংঙ্কা প্রকাশ করছেন সচেতন মহল৷ গ্রামগঞ্জের হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিন আরাইশ গ্রামের প্রতি হালি জাটকা বিক্রয় হচ্ছে ১শ ২০ থেকে দেড়শ টাকায়৷ আবার ৪শ থেকে ৬শ গ্রামের প্রতি হালি জাটকা বিক্রয় হচ্ছে ৭শ থেকে ৮শ টাকা৷ নিষিদ্ধ সময়ে মেঘনায় ও তেতুঁলিয়া নদীতে নিষেজ্ঞা উপেক্ষা করে জেলেরা অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে দেদারসে জাটকা নিধন করে জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে নিয়ে বিক্রয় করছে৷ লালমোহনের মেঘনার জেলে শফিক ও আলামিন সহ একাধিক জেলে জানান, অসময়ে নদীতে প্রচুর প্ররিমান জাটকা ধরা পরে৷

তাই আমরা নদীতে মাছ শিকার করতে যাচ্ছি৷ সরকারী ভাবে যেসব বরাদ্দ আসে তা আমাদের মাঝে এসে পৌচাইনা৷ ইলিশ মৌসুমে এর বিরম্নপ প্রভাব পরতে পারে বলেও তারা ধারণা করেন৷ লালমোহন উপজেলা জাতীয় ক্ষুদ্র মত্‍স্যজীবি জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুছ মিয়া জানান, জেলেদের পূর্ণবাসন, বিভিন্ন সরকারী সুবিধা বরাদ্দ নিয়ে মত্‍স্য অফিসের লোকজন আমাদের সাথে কখনও কোনো আলোচনা করে না৷ নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে বেকার জেলেদের পূর্ণবাসনের সুবিধা বিতরণেও নয় ছয় করা হয়৷ এব্যাপারে লালমোহন মত্‍স্য সম্পদ কর্মকর্তা আলী আহম্মদ আকনন্দ জানান, নদীর এরিয়া বড় হওয়ায় আমরা একদিকে অভিযান চালায় অন্যদিকে জেলেরা মাছ ধরছে৷ আমরা সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা চালাচ্ছি৷ যারা আইন অমান্যকরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ এব্যাপারে জেলা মত্‍স্য সম্পদ কর্মকর্তা প্রীতিষ কুমার জানান, ভোলার ইলিশা থেকে মনপুরা উপজেলার চরপিয়াল এবং ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চর রম্নসত্মম পর্যনত্ম ১শ ৯০ কিলোমিটার নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেয়া হয়েছে৷ কোস্টগার্ড সহ আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যহত চলছে৷