দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৬ মার্চ: মন্ত্রিসভায় ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) আইন-২০১৫-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে সামরিক শাসনামলে জারিকৃত বিদ্যমান অধ্যাদেশটি আরো সময়োপযোগী ও কার্যকর করতে প্রণীত এই খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসেইন ভূইয়া ব্রিফকালে সাংবাদিকদের বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ মন্ত্রিসভার পূর্ববর্তী সিদ্ধান্তের আলোকে বাংলা ভাষায় এই আইনের খসড়া পেশ করে।১৯৭৬ সালের ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন অর্ডিন্যান্সের নবরূপায়নের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আইনটি প্রণীত হয়েছে। অর্ডিন্যান্সটি ২০১০ সালে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বাতিল হয়ে যায়।প্রস্তাবিত এই আইনে বলা হয়েছে, আইএফসি থেকে প্রাপ্ত সকল আর্থিক সহায়তা সরকারের একটি কনসোলিডেটেড ফান্ডে জমা হবে। একইভাবে আইএফসিকে যেকোন ধরনের সাবস্ক্রিপশন বা পেমেন্টও এই ফান্ড থেকে দেয়া হবে।সচিব বলেন, বাংলাদেশে আইএফসি’র সব সম্পদের কাস্টোডিয়ান হবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রস্তাবিত এই আইনে এনবিআর’র পরামর্শে একটি বিধান অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, আইএফসি কর্মকর্তারা তাদের ব্যবহার্য বিভিন্ন পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধায় অতিরিক্ত অনুচিত কোন বিশেষাধিকার পাবেন না।বৈঠকে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড আইন-২০১৫’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। প্রস্তাবিত এ আইনে সমবায়ের কর্মকা- আইনগত কাঠামোর আওতায় আনতে বিদ্যমান অধ্যাদেশে সংশোধনী আনা হয়। ১৯৮২ সালের এই অধ্যাদেশ ২০১০ সালে উচ্চ আদালতের রায়ে বাতিল হয়ে যায়।
মোশাররফ হোসেইন ভূইয়া বলেন, বর্তমানে সমবায় অধিদফতর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতিগুলোকে নিবন্ধন দেয় এবং বিআরডিবি এ সমিতিগুলোকে অপারেশনাল সহায়তা প্রদান করে।তিনি বলেন, অনেক সমবায় সমিতি বিআরডিবি’র অনুমতি নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রস্তাবিত খসড়ায় এসব সমিতিকে আইনের কাঠামোর আওতায় আনার বিধান রয়েছে। এছাড়া এতে কর্মকা-ের পরিধি সম্প্রসারিত হওয়ায় বিআরডিবির জন্য বিদ্যমান জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের পাশাপাশি বিভাগীয় পর্যায়েও কার্যালয় ¯’াপনের বিধান রয়েছে।পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চলতি বছরের ১৭ থেকে ১৯ ফেব্র“য়ারি যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং ৩ থেকে ৭ মার্চ জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের উচ্চ পর্যায়ের ২৮তম অধিবেশনে যোগদান সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।
এদিকে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জয়ের ব্যাপারে খোঁজ-খবর রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে মন্ত্রিসভার আইনজীবী সদস্যদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন তিনি। সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় ওই নির্বাচন নিয়ে কথা ওঠে।মন্ত্রিসভার একজন সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা উকিল-আইনজীবী তারা একটু খবর রাখেন।নির্বাচনে সরকার সমর্থক প্যানেলে সভাপতি পদে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সাধারণ সম্পাদক পদে ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রোববার শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ শেষ হবে সোমবার (১৬ মার্চ)।মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম আইনজীবী সমিতির সদস্য।এছাড়া স্পিকার শিরিন শারমীন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী আইনজীবী সমিতির সদস্য।