দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৫ মার্চ: ড্যান্ডি ডায়িংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণ খেলাপীর মামলায় মৃত আরাফাত রহমান কোকোর দায় বর্তাচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপর।আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ায় ড্যান্ডি ডায়িংয়ের খেলাপি ঋণের মামলায় খালেদা জিয়াকে বিবাদীভূক্ত করার আবেদন জানানোর ফলে এ দায় বর্তাচ্ছে। একইসঙ্গে কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানের উপরও বর্তাচ্ছে এর দায়ভার।
গত ৮ মার্চ খালেদাসহ অন্যদের বিবাদীভূক্ত করার জন্য ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে আবেদন জানান সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন।আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসানা আক্তার হ্যাপি সোমবার (১৬ মার্চ) এ আবেদনের বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন।এছাড়াও একইদিন হাইকোর্টের আদেশ দাখিল ও বিচার্য বিষয় নির্ধারণের জন্যও দিন ধার্য রয়েছে। দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ২২নং আদেশের বিধি-৪ অনুসারে কোকোর সম্পদের উত্তরাধিকারীরা বিবাদীভূক্ত হবেন। যেহেতু বাংলাদেশে শরীয়াহ আইনের বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টিত হয় সেজন্যই খালেদা জিয়া, কোকোর স্ত্রী ও তার সন্তানরা বিবাদী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছেন।
তবে উত্তরাধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তারেক রহমান আগে থেকেই বিবাদী থাকায় নতুন করে বিবাদীভূক্ত করার আবেদন জানানো হয়নি।উল্লেখ্য, গত ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
এ মামলায় এ নিয়ে ১৩ বার ইস্যু গঠনের জন্য তারিখ পেছানো হয়। মামলার বিবাদীরা হলেন- ড্যান্ডি ডায়িং লি., প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদ, তারেক রহমান, আরাফাত রহমান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান।এ মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফফর আহমেদ মারা গেলে তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে বিবাদীভূক্ত করা হয়।গত বছরের ২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগে মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্র“য়ারি সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনকৃত ঋণ মঞ্জুর করেন। ২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফ করেন। এরপর ঋণ পুনঃতফসিলিকরণও করা হয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বরাবর কালক্ষেপণ করতে থাকেন।মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করা হলেও বিবাদীরা কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি।