maxresdefault

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ মার্চ: ১৯৯৯ সালে প্রথম বিশ্বকাপ আসরে পা রাখে বাংলাদেশ। এরপর সবগুলো আসরেই অংশ নেয় টাইগাররা। তবে কোন আসরেই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা হয়নি তাদের। চলতি বিশ্বকাপে সেই আশা পূরণ হয়েছে টাইগারদের। ফলে বিশ্বকাপের এগারতম আসর স্মরণীয় হয়ে থাকলো বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে। তাই স্মরণীয় বিশ্বকাপে আরও অনেক দূর যেতে চায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের(বিসিবি) নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি এ ব্যাপারে বলেন, দারুণ সাফল্যে বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করেছে ক্রিকেট দল। ফলে দলের উপর আমাদের বিশ্বাস অনেকখানি বেড়ে গেছে। আমি আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক দূর যাবে।কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা টাইগাররা, নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে হারায়। মাঝে বৃষ্টির কৃপায় অস্ট্রেলিয়ার সাথে এক পয়েন্ট ভাগাভাগি করায় ৫ পয়েন্ট অ্যাকাউন্টে নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখাতে শক্তপোক্তভাবেই টিকে থাকে।

এজন্য পুল পর্বে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে একটি জয় খুব বেশি প্রয়োজন হয়ে পড়ে বাংলাদেশের। ইংল্যান্ড বা নিউজিল্যান্ডকে হারালেই কোয়ার্টার ফাইনাল পুরোপুরিভাবেই নিশ্চিত- এমন সমীকরণের সামনে পড়ে টাইগাররা।

সমীকরণের হিসাবটা দ্রুত মিলানোর জন্য যেন তর সইছিল না বাংলাদেশের। তাই নিজেদের পঞ্চম ম্যাচেই চোখ জুড়ানো পারফরমেন্স প্রদর্শন করে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখায় মাশরাফির বাংলাদেশ।এরপর নিউজিল্যান্ডের সাথে নিয়ম রক্ষার ম্যাচে যেভাবে লড়াই করেছে বাংলাদেশ তাতে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব প্রশংসায় ভাসিয়েছে মাহমুদুল্লাহ-মুশফিকদের। আর এতগুলো প্রশংসা নিয়ে ১৯ মার্চ কোয়ার্টারফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তারপরও এই বিশ্বকাপ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশের কাছে।

এই স্মরণীয় বিশ্বকাপে আরও অনেক দূর যেতে চায় টাইগাররা। বিসিবি নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি এ ব্যাপারে বলেন, ‘দারুণ সাফল্যে বিশ্বকাপকে স্মরনীয় করেছে ক্রিকেট দল। ফলে দলের উপর আমাদের বিশ্বাস অনেকখানি বেড়ে গেছে। আমি আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক দূর যাবে।বিশ্বকাপে কত দূর যাবে বাংলাদেশ, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের এমন উন্নতি ভবিষ্যতের জন্য সহায়ক হবে বলে মনে করেন নিজাম উদ্দিন চৌধুরি, উন্নতি ও এগিয়ে যাওয়াটা সবসময়ই চ্যালেঞ্জের। কিন্তু আমাদের ধৈর্য্য আছে। গেল কয়েক বছর সব

ফরম্যাটেই আমরা ভালো উন্নতি করেছি। এটি কাজে দিবে ভবিষ্যতে।বিশ্বকাপের পরও ভালো খেলার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ বলে মনে করেন দলের প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে ভালো খেলা প্রদর্শন করা গেছে। খেলার প্রতি খেলোয়াড়দের অনেক বেশি ভালোবাসা ছিলো। বাংলাদেশ দলের ভালো পারফরমেন্সে মুগ্ধ পুরো জাতি।