দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ মার্চ: রোববার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০১৫-১৬ বর্ষের দু দিনব্যাপী নির্বাচন শুরু হবে।সুপ্রিমকোর্ট বারের তত্ত্বাবধায়ক নিমেষ চন্দ্র দাস বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচনের জন্য গত ১৬ ফেব্র“য়ারি তফসিল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে সুপ্রিমকোর্টের মোট ৪ হাজার ৩’শ ৬২ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। দুদিনব্যাপী এ নির্বাচনে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে মাঝে ১ ঘন্টা বিরতি দিয়ে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। সুপ্রিমকোর্ট বারের কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪ টি পদে এ নির্বাচন হবে। এর মধ্যে ৭টি সম্পাদকীয় ও ৭ টি নির্বাহী সদস্যের পদ রয়েছে।
সভাপতির একটি পদের বিপরীতে ৪ জন, সহ-সভাপতির ২টি পদের বিপরীতে ৫ জন, সেক্রেটারির (সম্পাদক) একটি পদের জন্য ২জন, ট্রেজারার একটি পদে ২ জন, সহ-সম্পাদকের একটি পদের বিপরীতে ৪ জন এবং ৭টি কার্যনির্বাহী সদস্য পদের বিপরীতে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচন সংক্রান্ত সাব-কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এডভোকেট হারুনুর রশীদ।নির্বাচনে শেষ মুহুর্তের প্রচারণা চালাচ্ছেন দুই প্যানেলের প্রার্থী ও সমর্থকেরা। নির্বাচনে কাল ১৫ মার্চ ও পরদিন ১৬ মার্চ ভোটগ্রহণ হবে। এ নির্বাচনে কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪ টি পদের বিপরীতে ৩১ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দল সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সাদা প্যানেল এবং বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দল সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্যের নীল প্যানেলের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
সাদা প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন সভাপতি পদে এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও সম্পাদক পদে মমতাজউদ্দিন আহমেদ (মেহেদী)। অপরদিকে নীল প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন সভাপতি পদে এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সম্পাদক পদে ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন (খোকন)।এছাড়াও সভাপতি পদে এডভোকেট ড.ইউসুস আলী আকন্দ ও এডভোকেট মো. ওবায়দুল হক পীরজাদা, সহ-সভাপতি পদে এডভোকেট নজরুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের রেকর্ড অনুযায়ী নির্বাচনে বরাবর মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় সাদা ও নীল প্যানেলের মধ্যে।উভয় প্যানেল জয়ী হতে সুপ্রিমকোর্ট বার ভবনে লিফলেট বিতরণ, আইনজীবীদের হলরুমে ও চেম্বারে ভোট প্রার্থনা, প্রচারমিছিলসহ নানামুখী প্রচারণা চালাচ্ছে। প্যানেল ও প্রার্থীদের পক্ষে প্রতিদিন লিফলেট ও কার্ড বিতরণ ছাড়াও মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে,বাসায় ও চেম্বারে জোর প্রচারণা ও ভোট প্রার্থনা করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রার্থী ও তাদের পক্ষে আইনজীবীদের ফোনও এসএমএসের মাধ্যমে ভোট প্রার্থনা করা হচ্ছে।