দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ মার্চ: জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ হত্যা চলতে থাকলে বিএনপির সাথে কোন ধরনের সংলাপ হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আলোচনা করেনি। বাংলাদেশেও হবে না। তারা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, আমরাও তাই করবো। জ্বালাও- পোড়াও, মানুষ হত্যা বন্ধ করলে, শান্তির পরিবেশ এলে আলোচনা হলেও হতে পারে।
সৈয়দ আশরাফ শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা’র রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন। শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি,সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জমান ভূঁইয়া ডাবলু, দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দি ও আমিরুল ইসলাম আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে যদি বেগম খালেদা জিয়া তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে সন্ত্রাস থেকে মুক্ত করেন, মানুষ হত্যা বন্ধ করেন, তাহলে দেশে শান্তির পরিবশে আসবে। সেই শান্তির পরিবেশে আলোচনা সম্ভব।সৈয়দ আশরাফ বলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করে শান্তি আনা সম্ভব নয়। সমগ্র বিশ্ব আজ এমর্মে ঐক্যবদ্ধ, কোনো সন্ত্রাসীর সঙ্গে আলোচনা চলবে না। হত্যাকারীদের সঙ্গে পৃথিবীর কোনো রাজনৈতিক দল, সরকার আলোচনা করতে পারে না। আমরাও এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আলোচনা করলে তাদের প্রশ্রয় দেওয়া হয়। বিশ্ব তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, আমরা আইন ও নিয়মে বিশ্বাসী।তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত মানুষ হত্যা করে, সরকারকে জিম্মি করে নির্বাচন চায়। সেটা বাংলাদেশে কোন দিনই হবে না। এখন সময় এসেছে বাংলার মাটি থেকে এই সন্ত্রাসীদের চিরতরে নির্মূল করা। ৭১ এ পাকিস্তানীরা আমাদের ঠেকাতে পারে নাই, খালেদা জিয়াও এখন পারবেন না।
সৈয়দ আশরাফ বলেন,আমরা নির্বাচিত সরকার। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্য থেকে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে আগামীতেও হবে। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আসুক আর না আসুক আগামীতেও নির্বাচন একইভাবে হবে।বেগম খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে বস্তুনিষ্ঠতা ছিল না দাবী করে তিনি বলেন, অবরোধে সারা দেশে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার ১৫০ জন মানুষকে তারা হত্যা করেছেন। জীবন নেওয়ার জন্যই খালেদা জিয়ার হরতাল। মানুষ হত্যা করে পৃথিবীতে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন হয় নাই। মানুষ হত্যা করা গণতান্ত্রিক আন্দোলন নয়।সৈয়দ আশরাফ বলেন, যা চলছে তা- গণতান্ত্রিক আন্দোলন নয়, তত্ত্বাবধায়ক বা নির্বাচনের জন্যও আন্দোলন নয়। বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্যে দেশে আইএস-এর মত পরি¯ি’তি সৃষ্টি করা। খালেদা জিয়া শান্তির পক্ষে থাকলে বা গণতন্ত্রের পক্ষে থাকলে এত মানুষ পুড়িয় মারতেন না। তার কাছে বাংলাদেশের কোনো মানুষ নিরাপদ নন। তিনি চান ক্ষমতা।
বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি কেন গত নির্বাচনে অংশ নেন নাই? আইনে তো কোনো বাধা ছিল না! তিনি নিজেই নির্বাচনে আসেন নাই। যার জন্য সমগ্র জাতিকে অবরুদ্ধ করেছেন। আগামী নির্বাচন সময় মত হবেই। যদি সেই নির্বাচনে তিনি না আসেন, তাহলে তার দায় দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে। বাংলার মানুষ এর দায় নেবে না।অবরোধ প্রত্যাহার করে বাংলাদেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার পরিবেশ তৈরি করতে বেগম জিয়ার প্রতি আহবান জানিয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, আমরা জানি আপনার শক্তি কোথায়, কারা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে! নির্দেশ আসছে কোথা থেকে, সেটাও জানি। আপনি আপনার কুৎসিত চেহারা আড়াল করতে পারবেন না। আপনার এ কুৎসিত চেহারার জন্যই আপনার পক্ষে কেউ নেই। রাজপথে আন্দোলনে কেউ আসে না। চোরাগোপ্তা হামলা পর্যন্তই আপনি সীমাবদ্ধ। আর এটাও আপনি চালিয়ে যেতে পারবেন না। এ হত্যা বন্ধ করুন।
‘প্রতিনিয়তই বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করছেন, এ বিষয়টি কীভাবে নিচ্ছেন’- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা রাষ্ট্রদূত আছেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। তারা কি পরিমাণ আলোচনা করেন বা হয়, এটা আমরা জানি। তাদের সঙ্গে এমন কিছু আলোচনা হয় না, যে নির্বাচনের তারিখ বা সময় দেওয়ার বিষয়। তারা বলেছেন, সহিংসতা বন্ধ করতে।এসময় সৈয়দ আশরাফ সবাইকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আপনারা সন্ত্রাসকে না বলুন।
আশরাফ বলেন, আমরা নির্বাচিত সরকার। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্য থেকে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে আগামীতেও হবে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আসুক আর না আসুক নির্বাচন একইভাবে হবে বলে জানান তিনি।গতকালের ওই সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ সংসদ নির্বাচন করার আগে প্রধানমন্ত্রী এটাকে নিয়ম রক্ষা ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার নির্বাচন বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি এই নিয়ম রক্ষার নির্বাচনের পর সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের অঙ্গীকার করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারি তাঁর সরকারের সময়ে করা নির্বাচনের উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আমরা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন করে সংবিধান সংশোধনের পর পদত্যাগ করে অঙ্গীকার পূরণ করেছিলাম। এখন শেখ হাসিনা যদি তাঁর অঙ্গীকার পূরণ করেন, তাহলেই দেশে শান্তি, স্বস্তি ও সমঝোতার পরিবেশ ফিরে আসবে। মানুষ মুক্তি পাবে।’ নির্বাচন নিয়ে এসব বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আশরাফ আজ এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আশরাফ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করব অবরোধ প্রত্যাহার করুন। বাংলাদেশের মানুষের জীবনের স্বাভাবিক পরিবেশ তৈরি করেন। আশরাফ বলেন, আমরা জানি আপনার শক্তি কোথায়? কারা এই সন্ত্রাসী কাজকে প্রশ্রয় দিচ্ছে? কোথা থেকে নির্দেশ আসছে তা-ও জানি।সংবাদ সম্মেলনে জ্বালাও- পোড়াও, মানুষ হত্যা চলতে থাকলে বিএনপির সঙ্গে কোনো ধরনের সংলাপ হবে না বলে জানান স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আলোচনা করেনি। বাংলাদেশেও হবে না। তাঁরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, আমরাও তাই করব। জ্বালাও- পোড়াও, মানুষ হত্যা বন্ধ করলে, শান্তির পরিবেশ এলে আলোচনা হলেও হতে পারে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে যদি খালেদা জিয়া তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনীকে সন্ত্রাস থেকে মুক্ত করেন, মানুষ হত্যা বন্ধ করেন, তাহলে দেশে শান্তির পরিবেশ আসবে। সেই শান্তির পরিবেশে আলোচনা সম্ভব।আশরাফ আরও বলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করে শান্তি আনা সম্ভব নয়। বিশ্ব আজ এই মর্মে ঐক্যবদ্ধ, কোনো সন্ত্রাসীর সঙ্গে আলোচনা চলবে না। হত্যাকারীদের সঙ্গে পৃথিবীর কোনো রাজনৈতিক দল, সরকার আলোচনা করতে পারে না। আমরাও এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আলোচনা করলে তাঁদের প্রশ্রয় দেওয়া হয়। বিশ্ব তাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, আমরা আইন ও নিয়মে বিশ্বাসী।
আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত মানুষ হত্যা করে, সরকারকে জিম্মি করে নির্বাচন চায়। সেটা বাংলাদেশে কোনদিনই হবে না। এখন সময় এসেছে বাংলার মাটি থেকে এই সন্ত্রাসীদের চিরতরে নির্মুল করা। ৭১ এ পাকিস্তানিরা আমাদের ঠেকাতে পারে নাই, খালেদা জিয়াও এখন পারবেন না।খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে বস্তুনিষ্ঠতা ছিল না দাবি করে আশরাফ বলেন, অবরোধে সারা দেশে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ১৫০ জন মানুষকে তাঁরা হত্যা করেছেন। জীবন নেওয়ার জন্যই খালেদা জিয়ার হরতাল। মানুষ হত্যা করে পৃথিবীতে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন হয়নি।
মানুষ হত্যা করা গণতান্ত্রিক আন্দোলন নয়। তিনি আরও বলেন, যা চলছে তা- গণতান্ত্রিক আন্দোলন নয়, তত্ত্বাবধায়ক বা নির্বাচনের জন্যও আন্দোলন নয়। বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য দেশে আইএস-এর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। খালেদা জিয়া শান্তির পক্ষে থাকলে বা গণতন্ত্রের পক্ষে থাকলে এত মানুষ পুড়িয়ে মারতেন না। তাঁর কাছে বাংলাদেশের কোনো মানুষ নিরাপদ নন। তিনি চান ক্ষমতা।খালেদা জিয়ার প্রতি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি কেন গত নির্বাচনে অংশ নেননি? আইনে তো কোনো বাধা ছিল না! তিনি নিজেই নির্বাচনে আসেননি। এ জন্য সমগ্র জাতিকে অবরুদ্ধ করেছেন। আগামী নির্বাচন সময়মতো হবেই। যদি সেই নির্বাচনে তিনি না আসেন, তাহলে তাঁর দায়দায়িত্ব তাঁকেই নিতে হবে। বাংলার মানুষ এর দায় নেবে না।