আমু

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ মার্চ: শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন , বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল এবং অবশিষ্ট এলাকার মাঝে অবস্থান করায় সুবিধা কাজে লাগিয়ে গোটা ভারতসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর শিল্পায়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে চায়।তিনি শনিবার ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত ‘দশম উত্তর-পূর্ব ব্যবসা সম্মেলনের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।

আমু বলেন, আমরা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন জোরদারের লক্ষ্যে ব্যবসা-অবকাঠামো, অভিবাসন, শুল্ক সুবিধা, স্থলবন্দর স্থাপনসহ অন্যান্য ইস্যুতেও অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী।ভারতের সাথে বাংলাদেশের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার স্থলসীমা রয়েছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিকভাবেই বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার।ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।নয়াদিল্লীর অশোক হোটেলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

ভারতীয় চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) নর্থ ইস্ট ইনিসিয়েটিভ বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এম কে সাহারিয়ারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিসি’র প্রেসিডেন্ট রূপেন রায় ।মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের সচিব আর. বিজয় কুমার।এ অনুষ্ঠানে ভারতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পবিষয়ক মন্ত্রী কালরাজ মিশ্র , বেসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী পি অশোক গাজাপাথি রাজু , ভুটানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী লয়িনপো টানডিন ওয়াংচুক, মিয়ানমারের মান্দালয় অঞ্চলের পরিকল্পনা ও অর্থনৈতিকবিষয়ক মন্ত্রী আং জান, সাগাইন অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী ইউ থা আই, ভারতের আসাম প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গোগাই, অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নাবাম তুকি এবং সম্মেলন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. জিতেন্দ্র সিং বক্তৃতা করেন।

আমির হোসেন আমু সার্ক,আসিয়ান ও বিমস্কেটভুক্ত দেশগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে টেকসই প্রযুক্তি, সবুজ জ্বালানি, পরিবহণ, পর্যটন ও মৎস্য সম্পদখাতের উন্নয়নে যৌথ কর্মসূচি গ্রহণের তাগিদ দেন।বাংলাদেশ গত ৬ বছর ধরে ছয় শতাংশেরও বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে আগামী দিনে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাই নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশাবাদী।

উল্লেখ্য, ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অংশীদারিত্ব জোরদারে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এর ফলে আগামী দিনে আসিয়ান এবং বিমস্টেকভুক্ত দেশগুলোর সাথে ভারতের বাণিজ্য বহুগুণ বাড়বে। এ বিবেচনায় আসিয়ান এবং বিমস্টেকভুক্ত দেশগুলোর সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে শিল্প ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে এ সম্মেলন অনুুষ্ঠিত হচ্ছে।বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, জাপান, নেপাল, ভুটান ও সিঙ্গাপুরের মন্ত্রী, ভারতের সিকিম, মনিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয় অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কূটনীতিক, কর্পোরেট প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, আর্থিক ও ব্যাংকিংখাতের প্রতিনিধিসহ প্রায় এক হাজার প্রতিনিধি এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।শিল্পমন্ত্রী আগামী ১৬ মার্চ দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।