লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ মার্চ:  দেশ অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান।শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।স্বাধীনতার মাসে অবরুদ্ধ গণতন্ত্র বিপন্ন মানবতা শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

মাহবুব বলেন, জাতীয় ঐক্যের জন্য দেশকে মায়ের মতো ভালোবেসে ভালো-মন্দ, ভুল-সঠিক সবকিছু ভুলে যাওয়া উচিত।তিনি বলেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না যদি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে কথা বলে অপরাধ করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত। মাহবুবুর রহমান বলেন, কয়েক দিন ধরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের কোনো খোঁজ-খবর নেই। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো সকল নাগরিকের নিরাপত্তা দেওয়া। সালাহ উদ্দিন কি বেঁচে আছেন না মরে গেছেন আমরা বলতে পারি না। দেশের বন্দুক যুদ্ধ, হত্যা ও ক্রসফায়ার নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব। তবে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী তার নিজের কথাটাই রাখতেন তাহলে দেশে আর কোনো সংকট থাকে না বলেও অভিযোগ করেন মাহবুবুর রহমান । ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ১৫৪ আসনে ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার সংসদকে অপমান করেছে। তারা সংবিধানকেও অপমান করেছে। সংবিধানের ১০৩(২৩) বলা আছে- নির্বচনের আগে অবশ্যই সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে। তারা সেটাও মানে নি। পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক দেশই এই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয় নি। মাহবুবুর রহমান বলেন, পৃথিবীতে এমন কোন দেশ নেই যেখানে সংসদ না ভেঙে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যে দেশে সরকার ক্ষমতায় থেকে সংসদ না ভেঙ্গে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে।তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন বাংলার জনগণ মেনে নেইনি। আমি যদি নির্বাচন কমিশনারের হিসেব অনুযায়ী বলি সেই নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছিলো। তাহলে ৬০ শতাংশ লোকের ভোটের কি কোন মূল্য নেই? প্রশ্ন থেকেই যায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।সরকারের উদ্দেশ্যে সাবেক এই ভিসি বলেন, সরকারের যদি আত্মসম্মানবোধ থাকতো, তাহলে জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে একটি মধ্যবর্তী নির্বাচনের ব্যবস্থা করতো। যার মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান হত।

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুজ্জমান কাদরী, বিএনপির নির্বাহী কিমটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, মিজানুর রহমান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ড. জাফর উল্লাহ প্রমুখ।