দৈনিকবার্তা-বান্দরবান, ১৩ মার্চ: জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পষিদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা বলেছেন, চুক্তি বাস্তবায়নের নামে সরকারের তালবাহানা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আগামী ১লা মে থেকে তিন পার্বত্য জেলায় অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে চুক্তি বাস্তবায়নে বাধ্য করা হবে। পাহাড়ি জনগণের অস্তিত্ব রক্ষায় সকল সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।শুক্রবার বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের ফরুক পাড়ায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ১৬ তম জেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি মস্তু মার্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা,কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক কে এস মং মার্মা, আঞ্চলিক পরিসদের সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য লয়েল ডেভিট বম, রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়াই চিং মার্মা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি জ্যোতিষ্ময় চাকমা,হিল ইউমেন্স ফেডারেশনের সভানেত্রী ওয়াইচং প্র“ প্রমুখ।সমে¥লনে বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলা থেকে জনসংহতি সমিতি ও পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নেতা কর্মীরা অংশ নেন। সন্তু লারমা তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন জুম্মজনগণের অধিকার অদায়ে, তাদের অস্বিত্ব রক্ষার্থে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।
এদিকে সন্তু লারমার সফরকে কেন্দ্র বান্দরবান শহর ও আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। তার সফর ঠেকাতে বুধবার থেকে জাগো পার্বত্যবাসী নামের একটি সংগঠন ৭২ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিলেও বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রশাসনের চাপে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। সন্তু লারমার আগমনকে কেন্দ্র করে বুধবার শহরে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন বান্দরবানে।