দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১২ মার্চ: রাত নয়টার পর আন্তজেলা বাস চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির জরুরি ও অনির্ধারিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ‘মালিক সমিতি আমাদের অনুরোধ জানিয়েছেন সড়কের নিরাপত্তা জোরদার করতে; যাতে তাঁরা আজ রাত থেকে দূরপাল্লার বাস চালাতে পারেন। জরুরি ও অনির্ধারিত বৈঠকে তাঁদের এ বিষয়ে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, জাতীয় পার্টির নেতা এবং স্থানীয় সরকার ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ বিভিন্ন পরিবহন মালিক সংগঠনের নেতারা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনেরও সভাপতি। আর জাতীয় পার্টির নেতা রাঙ্গা আছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃত্বে।গত ৯ ফেব্র“য়ারি রাত নয়টার পর থেকে মহাসড়কে বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে রাত ৯টার পর আন্তঃজেলা বাস চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন পরিবহন মালিকরা, বিএনপি জোটের অবরোধ-হরতালে সহিংসতার কারণে প্রায় এক মাস যা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে বৈঠকের পর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতউল্লাহ এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।তিনি বলেন, আজ থেকে রাতেও দূর পাল্লার বাস চলবে। মালিকদের চাহিদার বিষয়টি জানানোর পর সরকার সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেওয়ায় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।গত ৯ ফেব্র“য়ারি পরিবহন মালিকদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর রাত ৯টার পর মহাসড়কে বাস না চালানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কামাল।
গত ৫ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের হরতাল ও অবরোধে প্রায় প্রতিদিনই মহাসড়কে গাড়িতে আগুন দেওয়া ও পেট্রোল বোমা ছোড়ার মতো নাশকতার ঘটনা ঘটছে। ইতোমধ্যে প্রাণ গেছে শতাধিক মানুষের, যাদের অধিকাংশই পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রী।এই পরিস্থিতিতে মহাসড়কে পুলিশ ও বিজিবির টহলের পাশাপাশি প্রায় ১ হাজার পয়েন্টে ১২ হাজার আনসার সদস্য মোতায়েনের পরও নাশকতা চলতে থাকায় রাত ৯টার পর নৈশকোচ চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
তবে পণ্যবাহী যান চলাচল এই সিদ্ধান্তের বাইরে রাখা হয়।পরিবহন মালিকরা বলছেন,সাম্প্রতিক সময়ে নাশকতার ঘটনা কমে আসায় নৈশকোচ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ার বিষয়টি তারা সরকারের কাছে তোলেন। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠকে বসেন সংগঠনগুলোর নেতারা।বৈঠকের পর ইউনিক পরিবহনের মহা ব্যবস্থাপক আবদুল হক বলেন, সরকার আমাদের আশ্বাস দিয়েছে নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা হবে। তবে একটি বহরে একসঙ্গে সব বাস পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।