Gazipur-(4)- 12 March 2015-Followup (Shibir shoot dead)

দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ১২ মার্চ: গাজীপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত শিবির নেতার লাশ ময়নাতদন্ত ও থানায় মামলা ছাড়াই গোপনে বৃহস্পতিবার দাফন করেছে তার স্বজনরা। স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলেও পুলিশ তা এড়িয়ে গেছে। নিহতের নাম ফরিদ আহমেদ (২০)। সে গাজীপুর মহানগরের যোগীতলার পশ্চিম পাড়া এলাকার নসির উদ্দিনে ছেলে। গাজীপুর মহানগর ১৭ নং ওয়ার্ডের ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি নিহত ফরিদ গাজীপুর শহরের কাজী আজিমুদ্দিন কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং গাজীপুর মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মোঃ হোসেন আলীর ভাতিজা।

এলাকাবাসী জানায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি যোগীতলার নিজ বাড়িতে শিবির নেতা ফরিদ তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তার স্বজনরা রাজধানীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে গোপনে চিকিৎসা করায়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যায় ফরিদ মারা যায়। ওইদিন রাতে তার লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনরা গোপনে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে তড়িঘড়ি করে বাড়ির পাশে খোলা মাঠে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করে। জানাযার নামাজের পূর্বে গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহ ও সহকারী সেক্রেটারি মোঃ হোসেন আলী, জেলা শিবিরের সভাপতি নুরুল ইসলাম, মহানগর শিবিরের সভাপতি ফুয়াদ হাসান পল্লব ও মহানগর শিবির সেক্রেটারি আহমেদ ইমতিয়াজ, জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি শেফাউল হক, মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আজহারুল ইসলাম মোল্লাসহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন। জানাযার নামাজে গ্রামবাসি ছাড়াও বিপুল সংখ্যক জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিল।

ধারনা করা হচ্ছে, নিজের অস্ত্রের গুলিতে সে আহত হয়ে পরে মারা যায়। তাই পুলিশকে না জানিয়ে পুরো বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে। তবে স্থানীয়রা এঘটনা পুলিশকে অবহিত করলেও গাজীপুর পুলিশ তা এড়িয়ে গেছে। এব্যাপারে ফরিদের পরিবার জানায়, দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হয়ে ফরিদ আহমেদ মারা গেছে। এদিকে জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল করিম রেজা জানান, ঘটনাটি পুলিশের জানা নেই। গুলিবিদ্ধের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। তবে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।