দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ১১ মার্চ: নেপালের সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশের সামরিক ইনস্টিটিউটের আনত্মর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশংসা করে বলেছেন, তার দেশ ভবিষ্যতে তাদের সেনাসদস্যদের জন্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে আগ্রহী৷সফররত নেপালের সেনাপ্রধান জেনারেল গৌরব শামশের জং বাহাদুর রানা বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর তেজগাঁও কার্যালয়ে সাক্ষাত্কালে এ কথা বলেন৷ সেনাপ্রধান বলেন, এ পর্যনত্ম নেপালের ২১৫ সেনা কর্মকর্তা বাংলাদেশ থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছে৷ তার দেশ ভবিষ্যতেও এই প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখতে চায়৷প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী বলেন, সফররত সেনাপ্রধান প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, আগামী বছর বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের যৌথভাবে এভারেস্ট অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে৷বৈঠকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেপালের জনগণ বিশেষ করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার ভূমিকা এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা দেয়ার কথা স্মরণ করেন৷শামীম চৌধুরী বলেন, বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশিস্নষ্ট বিষয় এবং দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক জোরদার করার পস্থা নিয়ে আলোচনা হয়৷
প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের শানত্মি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে সুসম্পর্ক, যৌথ অনুশীলন এবং উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠকের ওপর গুরত্বারোপ করেন৷জেনারেল রানা শেখ হাসিনার বিচৰণ নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি সাধিত হয়েছে৷ বাংলাদেশ তাঁর গতিশীল দিক-নির্দেশনায় অনেক এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন সেনাপ্রধান ৷উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দু’দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নেপালের সঙ্গে ট্রানজিট সুবিধা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এ ইসু্যতে ভারত খুবই ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছে৷বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত হরিকুমার সেরেসত্মা এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু বেলাল মুহাম্মদ শাফিউল হক ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷