দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ১১ মার্চ: ক্ষমতা দখলের নেশায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘উন্মাদ’ হয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান৷২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা, হরতালের নামে পেট্রলবোমা দিয়ে মানুষ হত্যাসহ দেশের অধিকাংশ হত্যাকাণ্ডের নায়ক তারেক জিয়া বলে মন্তব্য করেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান৷বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় রিঙ্া-ভ্যান শ্রমিক লীগ আয়োজিত সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে তিনি এ মন্তব্য করেন৷ মানববন্ধনের পর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়৷জিয়া পরিবার হত্যার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত মন্তব্য করে শাজাহান খান বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাধ্যমে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ক্ষমতায় এসেছিল৷ জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসেই ১৮ জন নিরীহ শ্রমিককে হত্যা করেছিল৷ শুধু শ্রমিককে হত্যা করেই ক্ষান্ত হননি, অবৈধভাবে শত শত আনসারকেও হত্যা করেছিলেন৷
শাজাহান খান বলেন, ক্ষমতা দখলের জন্য দেশের সাধারণ মানুষকে পেট্রোল বোমা মেরে হত্যা করছেন খালেদা জিয়া৷ এজন্য তিনি মানুষ হত্যায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন৷তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে যখন খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন তখন কৃষক-শ্রমিকদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল৷ ২০০১ সালে তিনি ক্ষমতায় থেকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের হত্যা করেছেন৷শাজাহান খান বলেন, জনগণ এ হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জেনে গেছে৷ হরতাল-অবরোধের নামে খালেদা জিয়া সিএনজি অটোরিকশা চালক, বাস চালক, বাসের সাধারণ যাত্রীদের গায়ে পেট্রোল বোমা মেরে হত্যা করছেন৷স্বাধীনতা যুদ্ধের পর যারা বাংলাদেশকে স্বীকার করে নেয়নি তারা বাংলার মাটিতে রাজনীতি করছে৷ বিএনপি-জামায়াত সারা দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে৷সারা দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বলেন, যারা দেশে নাশকতা করে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাদের রুখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে৷
সজীব ওয়াজেদ জয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি কোনো সাধারণ মানুষ নন৷ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় তার অবদান অনেক৷ কিন্তু বিএনপি- জামায়াত জোট তাকে অপহরণের চেষ্টা করেছে৷ তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে৷বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে, হত্যার রাজনীতি করে৷ এদের প্রতিহত করার জন্য দেশের সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি৷ আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো আজাহার আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ আরো উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো ইনসুর আলী, শ্রমকি নেতা রেজাউল করিম, নুরুল ইসলাম, আবুল হোসেন প্রমুখ৷