দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০মার্চ : ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময়সূচি ঠিক করার আগে পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসছে নির্বাচন কমিশন।নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম সোমবার বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার কমিশনের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ইসি সচিবালয়ের সভাকক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
এ বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য ইসির নির্বাচন সহায়তা ও সমন্বয় শাখা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহা পরিদর্শক, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপির মহা পরিচালক, সংশ্লিষ্ট পুলিশ ও নির্বাচন কর্মকর্তা,গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে।সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমান পরিস্থিতি ভোটের উপযোগী কিনা বা পরিস্থিতির উন্নতি কবে নাগাদ হবে- এসব বিষয়ে বৈঠকে জানতে চাইবে কমিশন। পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর কমিশন ভোটের সময় নির্ধারণ করতে বসবে।
ভোট সামনে রেখে ভোটার তালিকা পুনর্বিন্যাসসহ অন্যান্য প্রস্তুতিও এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে কমিশন সচিব জানান।সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১০ মার্চের মধ্যে আমার সচিবালয় রেডি হবে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত কমিশনের। আমার প্রিপারেশন শেষ হচ্ছে, পরের বিষয়টা কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর।
বিএনপি জোটের হরতাল-অবরোধের কারণে এসএসসি পরীক্ষার সূচি এবার দফায় দফায় পিছিয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ২ এপ্রিল থেকে, চলবে ১১ জুন পর্যন্ত। আর রোজা শুরু হবে ১৫ জুনের দিকে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এর আগে বলেছিলেন, পরীক্ষা ও রোজার আগে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঠিক করতে তারা ফাঁকা সময় চান, যাতে ভোটের কারণে কোনো সমস্যা না হয়। এ বিষয়ে ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বলেন, বৈঠকে আলোচনার জন্য আমরা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল লিস্ট, ওয়ার্ডভিত্তিক ভোটার তালিকাসহ আনুষঙ্গিক তথ্য প্রস্তুত করে ইসিতে পাঠিয়েছি। বৈঠক বৃহস্পতিবার হবে বলে জানতে পেরেছি।
বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আলোচনা করবেন সংশ্লিষ্টরা। এ বৈঠক থেকেই ডিসিসি ও চসিক নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ হতে পারে বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন।শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান সম্প্রতি সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের জানান, ইসি সিদ্ধান্ত নিলে এইচএসসি পরীক্ষার মধ্যেও নির্বাচনের সমস্যা নেই। এদিকে সিইসি বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এইচএসসি পরীক্ষা ও রোজার মধ্যে একটা গ্যাপ তৈরি করে দিতে পারলে সে অনুযায়ী নির্বাচন করা হবে। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতেও নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আগামী ২ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। শেষ হবে ১১ জুন। আর রোজা শুরু হবে ১৮ জুন।এদিকে চসিকের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৬ জুলাই। তাই এ নির্বাচনও রোজার আগেই করা হবে। এক্ষেত্রে ডিসিসি ও চসিক নির্বাচন একইসঙ্গে সম্পন্ন করার বিষয়টিও ভাবনায় রাখছে কমিশন। সে পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় এ জরুরি বৈঠকে বসবে ইসি।