দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০ মার্চ: দিনে দিনে জনতার রক্তদানে বলিষ্ঠ রক্তঝরা এই সংগ্রামে সরকারের পতন ঘটে গণতন্ত্রের বিজয় পতাকা উড়বেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ।তিনি আবারও উল্লেখ করেন, বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র মুক্তির এই গণআন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সোমবার বিকেলে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা, শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নত গণতন্ত্রের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে রূপান্তরের লক্ষে এই গণআন্দোলনের বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই। প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংশোধনীসহ জাতীয় সনদ রচনার লক্ষে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যমত্যকে অগ্রগণ্য করে জাতীয় মুক্তির এ আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আজ সময়ের দাবি। দিনে দিনে জনতার রক্তদানে বলিষ্ঠ রক্তঝরা এই সংগ্রাম, স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় পতাকা উড়াবেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র মুক্তির এ গণআন্দোলন অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে সালাহ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতায় এখন শীর্ষ অবস্থানে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে অস্তিত্ব সংকটে দেশ ও জাতি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুলেটবিদ্ধ করে আওয়ামী লীগ জনগণের ব্যালটের অধিকার হরণ করেছে। গণতন্ত্রের বদলে ব্যক্তিতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অবাস্তব নীল-নকশা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র ইতোপূর্বে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেও সফল হয়নি। এখনও হবে না। প্রধানমন্ত্রীকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ ও জাতিকে রক্ষার জন্য আবারও আহ্বান জানাচ্ছি।অনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের বিকেলের আড্ডায় অলস সময়ের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ বিষয়ক কাহিনীর সঙ্গে বিএনপির হাইকমান্ড জড়িত বলে নানা চটুল বাক্যালাপ করা হয়েছে। আমরা এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ রকম আচরণ থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি নেতার ছেলের দণ্ডের পর বিষয়টি নিয়ে রোববার রাতে সংসদে যে অনির্ধারিত আলোচনা হয়েছে সেটিকে বালখিল্যপনা বলে মন্তব্য করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ।তিনি বলেন, অনির্বাচিত সদস্যদের বৈকালিন আড্ডায় বিকাশ মার্কা এমপিদের অলস সময়ের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় সাহেবের অপহরণ বিষয়ক কল্প-কাহিনীর সাথে বিএনপি হাইকমান্ড জড়িত বলে নানা চটুল বাক্যালাপ করা হয়েছে। আমরা এ জাতীয় বালখিল্যপণার তী নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতে এ জাতীয় বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধিতাসুলভ আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
জয় অপহরণের ষড়যন্ত্রে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের কারাদণ্ডাদেশের বিষয়টি শনিবার গণমাধ্যমে আসার পর এই প্রথম বিএনপির কোনো নেতার কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া এলো।এরআগে রোববার রাতে বিষয়টি নিয়ে সংসদে প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা অনির্ধারিত আলোচনা হয়। অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িতদের খুঁজে বের করতে বাংলাদেশে তদন্ত শুরুর দাবিও জানান সরকারি ও বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্যরা।
এরপর সোমবার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জয় বলেন, বিএনপি আমাকে অপহরণের পর হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। দলটির উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। যারা আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। বিবৃতিতে সালাহ উদ্দিন আরো বলেন, ‘নিপীড়ক আওয়ামী শাসকচক্রের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন সংগ্রাম প্রকৃত বিচারে জনগণের ক্ষমতায়নের একমাত্র এবং সর্বশেষ অবলম্বন হিসাবেই এখন দেশের সকল মানুষের কাছে বিবেচিত। দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা, শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নত গণতন্ত্রের দেশে রুপান্তরের লক্ষ্যে এই গণআন্দোলনের বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই।
প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংশোধনীসহ জাতীয় সনদ রচনার লক্ষ্যে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যমত্যকে অগ্রগণ্য করে জাতীয় মুক্তির এই আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আজ সময়ের দাবি। দিনে দিনে জনতার রক্তদানে বলিষ্ঠ রক্তঝরা এই সংগ্রাম স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় পতাকা উড়াবেই ইনশাআল্লাহ। বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র মুক্তির এই গণআন্দোলন অব্যাহত থাকবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতায় শীর্ষ অবস্থানে বাংলাদেশ;পরিণামে অস্তিত্ব সংকটে নিপতিত হওয়ার শঙ্কায় দেশ ও জাতি।
সালাহ উদ্দিন আরো বলেন, সরকারী নির্দেশে গুপ্তঘাতকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে রাষ্ট্রীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। সর্বত্র লাশের গন্ধ, যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে স্বাধীন দেশের নাগরিকদের গুলিবিদ্ধ লাশ। ‘ট্রীগার হ্যাপি’ পেটোয়া আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় কর্তাব্যক্তিরা খুনের উল্লাসে মেতে উঠেছে। জাতিসংঘ, ইইউ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সরকার ক্ষমতার উত্তাপে নির্বিকার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুলেটবিদ্ধ করে আওয়ামী লীগ জনগণের ব্যালটের অধিকার হরণ করেছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের বদলে ব্যক্তিতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অবাস্তব নীল-নক্শা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র ইতোপূর্বে বাকশাল প্রনয়ণের মাধ্যমেও সফল হয়নি; এখনও হবে না। প্রধানমন্ত্রীকে কন্যা হিসেবে পিতার ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার জন্য পূণর্বার আহবান জানাচ্ছি।
অবশেষে বাংলাদেশের সর্বজন স্বীকৃত ঘৃন্য স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদও প্রধানমন্ত্রীকে তার চাইতে বড় স্বৈরাচারের সনদ প্রদান করলেন গতকাল। গৃহপালিত বিরোধী দলের আসনে বসলেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসাবে পতাকা উড়িয়ে বেড়ান।
সালাহ উদ্দিন আরো বলেন, ৫ জানুয়ারীর বিনাভোটের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেও তাকে জোরপূর্বক ধরে এনে সংসদ সদস্যের শপথ পাঠ করানো হয় এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর দূত বানানো হয়েছে। হত্যার রাজনীতিতে পারদর্শীতার কারণে শেখ হাসিনার এই সনদপ্রাপ্তি ও স্বীকৃতি দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিরুপণে সংশ্লিষ্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলকে সহায়তা করতে পারে।অনির্বাচিত সদস্যদের বৈকালিন আড্ডায় ‘বিকাশ মার্কা’ এমপি’দের অলস সময়ের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় সাহেবের অপহরণ বিষয়ক কল্প-কাহিনীর সাথে বিএনপি হাইকমান্ড জড়িত বলে নানা চটুল বাক্যালাপ করা হয়েছে। আমরা এজাতীয় বালখিল্যপণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতে এজাতীয় বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধিতাসুলভ আচরণ থেকে বিরত থাকার আহবান জানান সালাহ উদ্দিন আরো ।