দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০ মার্চ: য়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদন্ডের রায়ের বিষয়ে আনা আপিলে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষকে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।এর আগে গত ২৪ ফেব্র“য়ারি মামলাটি কার্যতালিকায় এলে আপিলের সারসংক্ষেপ দুই সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলো আদালত। এ সময়সীমা শেষ হলেও সারসংক্ষেপ দাখিল করা হয়নি। আজ কার্যতালিকা অনুযায়ী মামলাটি উত্থাপিত হলে আসামিপক্ষ সারসংক্ষেপ দাখিলে আরও চার সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন পেশ করে।
আসামিপক্ষে এডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদিন তুহিন আদালতে আবেদনটি পেশ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।নিজামীকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে গতবছর ২৩ নভেম্বর আপিল দায়ের করা হয়েছে। ৬ হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট পেশ করে তাতে ১৬৮টি কারণ উল্লেখ করে দন্ড থেকে খালাস চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন এ আপিলটি দাখিল করেন।নিজামীর পক্ষে আইনজীবী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ১২১ পৃষ্ঠায় মূল আপিল আবেদনের সঙ্গে ৬ হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার নথিপত্র দাখিল করা হয়েছে। মূল আপিলে ১৬৮ টি গ্রাউন্ড পেশ করে দন্ড থেকে খালাস চাওয়া হয়েছে।
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ট্রাইব্যুনাল নিজামীর সর্বোচ্চ সাজার যে রায় দিয়েছে, তাতে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। আসামির আপিলের বিপরীতে শুনানিতে অংশ নেবে রাষ্ট্রপক্ষ। ট্রাইব্যুনালে দেয়া দন্ডের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করে তা বহাল রাখতে আর্জি পেশ করবে রাষ্ট্রপক্ষ।নিজামীকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার গতবছর ২৯ অক্টোবর রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল।
রায়ে বলা হয়, জামায়াতের আজকের আমীর নিজামী চার দশক আগে ছিলেন জামায়াতেরই ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের প্রধান এবং সেই সূত্রে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য গঠিত আলবদর বাহিনীরও নেতা। তার নেতৃত্বে ও প্ররোচণায় মানবাধীকারের চরম লংঘন, স্বাধীনতাকামীদের দমন-পীড়ন,গণহত্যা, দেশের মেধাবী নাগরিক বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।